নরসিংদীতে স্বাস্থ্যসেবার নামে চিকিৎসা বানিজ্য

২১ মে ২০১৮, ১০:১৭ এএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:১১ এএম


নরসিংদীতে স্বাস্থ্যসেবার নামে চিকিৎসা  বানিজ্য
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_2479" align="alignnone" width="590"] Collected[/caption] নরসিংদী জেলার প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার নামে চলেছে প্রাইভেট হসপিটাল,ক্লিনিক,ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জমজমাট বানিজ্য এদিক থেকে এগিয়ে নরসিংদী সদর ও মাধবদী। নরসিংদী শহর,ও ভেলানগরে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নামধারী ক্লিনিক। অপরদিকে মাধবদী ও এ প্রতিযোগিতায় কম নয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার মানেই যেন অনিয়মের আখড়া আর গলাকাটা ব্যবসার মহোৎসব। নিজেদের ইচ্ছা মতো ফি নেয়া, ভুল রিপোর্ট, কমিশন দিয়ে রোগী নেয়া লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এসব ব্যবসার সাথে জড়িত আছে কমিশনভোগী চিকিৎসকরাও। এসব ক্লিনিকগুলোতে ডিপ্লোমাধারী নার্স ছাড়াই অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে , নার্স হিসেবে ক্লিনিকগুলোতে যারা কাজ করছেন তারা নিজের নামটাও লিখতে পারেন না। এদের মধ্যে আবার কোন কোন ক্লিনিকে নেই পর্যাপ্ত পরিমানে কক্ষের ব্যাবস্থা একটি কক্ষের মধ্যেই রয়েছে আলাদা আলাদা রোগীর জন্য দুইটি থেকে চারটি বেড। কক্ষ গুলোর আকারও আয়তনে খুবই ছোট। একজন রোগীর স্বজনেরা দেখা করতে এলেই ভরে যায় কক্ষ, বিপাকে পড়ে যায় অপর বেডের রোগীরা। এ ছাড়াও চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিয়ে রয়েছে স্বজনদেরও নানা রকম অভিযোগ। রোগী হাত ছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে অনেক সময় ভুল ও প্রয়োজন না থাকা সত্বেও অপারেশন করতে গিয়ে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে ইতিপূর্বে। নেই টেকনিশিয়ান তবুও হচ্ছে এক্স-রে, ইসিজি। অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকা সত্বেও করা হচ্ছে অল্ট্রাসনোগ্রাফী। প্যাথলজিক্যাল টেকনিশিয়ান যারা রয়েছেন তাদের দিক-পাশ নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ দেখা গেছে, কোন কোন ক্লিনিকের নির্দিষ্ট কোন নিজস্ব ডাক্তার নেই। অপারেশনের প্রয়োজন হলে কেবলমাত্র ডাক্তারদের ফোন করে ডেকে আনা হয়। ইমারজেন্সী রোগী এলে তাৎক্ষণিক যে সব নামধারী ডাক্তার-নার্স উপস্থিত থাকেন, তাদের দ্বারাই নামমাত্র সেবা প্রদানের মাধ্যমে রোগীটিকে সেখানে আটকিয়ে দেওয়া হয়। আর ডেলিভারী রোগী এলে তো কোন কথাই নেই নরমাল কন্ডিশন হলেও অধিক মুনাফার লোভে রোগীকে সিজার করানো হয়। এরপর রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হলে স্বজনদের পকেট কেটে তাদের নিঃস্ব করে রোগীকে পাঠানো হয় নরসিংদী সদর হাসপাতাল অথবা অন্য কোথাও যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অবৈধ এসব ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্লিনিক,ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও ডাক্তাররা,আর অন্যদিকে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রামের ঘাম ঝড়ানো কৃষক,দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষেরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডাক্তারের ছিড়িয়াল লেখক জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আসা প্রতিটি রোগীর আয়ের উপর কমিশন টাকা ডাক্তারদের কাছে পৌছে দেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা জেলা সিভিল সার্জেন্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছে কাজ হচ্ছে-হচ্ছেনা এই বলে লাইসেন্স ছাড়াই বছরের পর বছর অবৈধ জমজমাট স্বাস্থ্য বাণিজ্য চালিয়ে আসছে


এই বিভাগের আরও