অস্তিত্ব সংকটে পড়ে পেশা ছাড়ছেন মৃৎ শিল্পীরা
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
নরসিংদীতে কালের বিবর্তন আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। তুলনামুলকভাবে সহজলভ্য ও বিকল্প পণ্যের ভীরে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি এসব গৃহসামগ্রী। ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন এ শিল্পের সাথে জড়িতরা।
সরেজমিন গিয়ে মৃৎশিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় নরসিংদী জেলার মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল দেশব্যাপী। জেলার শিবপুর, পলাশ ও বেলাবো উপজেলার হাজারো পাল পরিবার জড়িত ছিলো এ শিল্পের সাথে। নদীপথে নৌকাযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হতো এ জেলার মৃৎ শিল্পীদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসপত্র।
কিন্তু দিনের পর দিন আধুনিকতার ছোঁয়া আর পৃষ্ঠপোষতকার অভাবে বিলীন হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহি এ শিল্প। কমদামে বেশি টেকসই প্লাস্টিক, মেলামাইন, লোহা ও সিলভারের তৈরি সামগ্রীর দাপটে কমে গেছে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা। ফলে পুঁজি ও শ্রম দিয়ে মাটির তৈরি জিনিস করতে গিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের।
মটি দিয়ে তৈরী এসব গৃহসামগ্রী রোদে শুকিয়ে চুল্লিতে পোড়ানো হয়, তার পর রং করে বিক্রির উপযোগী করা হয়। বাড়ীর গৃহিনীরাও সহযোগিতা করেন এসব কাজে। মৃৎ শিল্পীরা বলছেন পরিশ্রম ও বিনিয়োগ অনুপাতে পণ্যের ন্যায্যমুল্য পান না তারা। এ কারনে পুরনো এ পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই, খুঁজছেন বিকল্প পেশা।
জেলার বেলাব, পলাশ ও শিবপুর উপজেলার হাজারো পাল পরিবারের মধ্যে এখন মাত্র আড়াই শতাধিক পরিবার ধরে রেখেছেন পূর্বপুরুষের এ পেশা। পাল পরিবারের নতুন প্রজন্মের কেউ শিখছেন না মৃৎ শিল্পের কাজ। বাড়ীতে বেকার থাকার চেয়ে সংসারের উপার্জন বাড়াতে বাধ্য হয়ে বেকার গৃহিনীরা জড়িয়ে আছেন মাটির তৈজসপত্র তৈরির কাজে।
শিবপুর উপজেলার লেটাবর গ্রামের মৃৎশিল্পী মনিন্দ্র চন্দ্র পাল বলেন, তৈজসপত্র তৈরির জন্য এখন মাটি কিনে আনতে হয়। কেনা মাটি দিয়ে তৈরি জিনিসপত্রের খরচও বেশি পড়ে। এ যুগে বেশি মূল্যে এসব জিনিস কিনতে আগ্রহ দেখায় না ক্রেতারা। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হয়।
একই গ্রামের সুনীল চন্দ্র পাল বলেন, নতুন করে আমাদের সন্তানরা এসব মাটির কাজ শিখতে চায় না। তারা অন্য পেশায় নিযুক্ত হচ্ছে। আমরা যারা আছি অন্য কোন কাজ না জানার কারনে লেগে আছি।
যোশর গ্রামের মৃৎশিল্পী শশী চন্দ্র পাল বলেন, মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন এনজিও’র চড়া সুদে ঋন নিয়ে বিপাকে থাকেন বছরের পর বছর ধরে। আমাদের এটাকে শিল্প বলা হলেও সরকারিভাবে কম সুদে কোন ঋন সুবিধা আমরা পাই না। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পাওয়া গেলে খেলনা, শোপিসসহ অন্যান্য সৌখিন জিনিস তৈরি করে মৃৎ শিল্পীরা বেঁচে থাকতে পারতো, শিল্পের ঐতিহ্যও রক্ষা করা যেতো।
শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা বলেন, ঐতিহ্যবাহি এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে মৃৎ শিল্পীদের সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন আছে। এজন্য মৃৎ শিল্পীদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সরকারি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে প্রয়োজনীয় ঋণ সহযোগিতা দেয়া প্রয়োজন।
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদীতে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- নরসিংদী প্রেসক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীর ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে পারেন এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়রা
- পথশিশুদের হাত রাঙিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদীতে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- নরসিংদী প্রেসক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীর ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে পারেন এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়রা
- পথশিশুদের হাত রাঙিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা