মনোহরদীতে আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ

২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ পিএম


মনোহরদীতে আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ
মনোহরদী প্রতিনিধি
 
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ প্রামানিক এবং প্রশিক্ষক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়ার নামে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতির সাথে বিভিন্ন ইউনিয়ন দলনেতা এবং কিছু ভিডিপি সদস্য জড়িত বলে জানা গেছে। চাহিদামত উৎকোচ না দেয়ায় পূর্বে দায়িত্ব পালনকারী অনেক সদস্য এবার বাদ পড়েছেন। 
 
জানা যায়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১২জন করে আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। সে হিসেবে মনোহরদী উপজেলায় ৯৬টি ভোট কেন্দ্রে এক হাজার ৫২জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রীম পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা করে প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন ওই দুই কর্মকর্তা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোতাশিয়া ইউনিয়নের এক নারী আনসার সদস্য বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য আমার এলাকার দলনেতার কাছে সাতশ’ টাকা অগ্রীম জমা দিয়েছি।
 
কাচিকাটা ইউনিয়ন আনসার দলনেতা মো. শহিদুল্লাহ জানান, আমার ইউনিয়নে একশ ২০জন সদস্যদের কাছ থেকে সাতশ টাকা করে উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছি।
 
ভিডিপি’র এক ইউনিয়ন নারী দলনেতা দুঃখ করে বলেন, দায়িত্বের আশায় ধারদেনা করে দাবীকৃত উৎকোচের টাকা জমা দেন নিরীহ আনসার সদস্যরা। গরীব সদস্যদের কাছ থেকে পাঁচশ থেকে সাতশ টাকা আদায় করতে খুব কষ্ট লাগে। তারপরও অফিসারদের মন রক্ষা করার জন্য এসব টাকা উত্তোলন করতে হয়।
 
এ বিষয়ে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নাজমুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে তার কার্যালয়ে চায়ের দাওয়াত দেন। 
 
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বিভূতি ভূষন প্রামানিক বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে কোন প্রকার উৎকোচ গ্রহণ করা হয়নি। আমার নাম ব্যবহার করে যদি কেউ অর্থ আদায় করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
প্রসঙ্গত, উপজেলা প্রশিক্ষক নাজমুল হাসান কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন নির্বাচন এবং দূর্গা পুজায় দায়িত্ব দেয়ার নামে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল।


এই বিভাগের আরও