অভিনেতাকে ফাঁসালেন লেবাননের এক নারী

০৫ মার্চ ২০১৮, ০৮:০৮ এএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ এএম


অভিনেতাকে ফাঁসালেন লেবাননের এক নারী
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_1830" align="alignnone" width="640"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] লেবাননের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত অভিনেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ প্রধান সুজান ই-হাজ হবেইছেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত নভেম্বর জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিয়াদ ইতানিকে দেশের বর্তমান ও সাবেক আমলাদের গুপ্তহত্যার পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ প্রধান মেজর. সুজান ই-হাজ হবেইছেকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে। জিয়াদ ইতানিকে গ্রেপ্তারের পর অনেকেই সেসময় নিন্দা জানান। কিন্তু তাকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ প্রধানকে আটক করায় অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জিয়াদ ইতানির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায় গ্রেপ্তার করা হয় ‘‘লেবাননের সবচেয়ে ক্ষমতাধর” নারী সুজান ই-হাজ হবেইছেকে। শুক্রবার সুজান ই-হাজ হবেইছেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আন্তঃনিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য শাখায় নেয়া হয়েছে। সামরিক আদালতে মামলা স্থানান্তরের আগে সোমবার পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকবেন। সাইবার অপরাধ ব্যুরোর সাবেক প্রধান সুজান ই-হাজ হবেইছের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হ্যাকার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে জিয়াদ ইতানির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেন। জিয়াদ ইসরাইলি এক নারী গুপ্তচরকে সহযোগিতা করছিলেন বলে ওইসব আইডিতে প্রচার করা হতো। গত অক্টোবরে সুজান ই-হাজ হবেইছেকে একটি টুইটার পোস্টে লাইক দেয়ার কারণে সাইবার অপরাধ ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়াকে উপহাস করে লেবাননের এক টিভি প্রযোজকের উপহাসমূলক টুইটে লাইক দেন সুজান ই-হাজ। যদিও পরে তিনি তার লাইক প্রত্যাহার করে নেন। অনেকে ধারণা করছেন, প্রত্যাহার করায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সুজান ই-হাজ হবেইছে জিয়াদকে ফাঁসিয়েছেন। এই ঘটনাকে দেশটির ‘‘নিরাপত্তা কলঙ্ক” উল্লেখ করে অনেক রাজনীতিক এবং গণমাধ্যম সমালোচনা করেছেন। পুরো মামলার অপব্যহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। কৌতুক অভিনেতা জিয়াদকে ফাঁসানোর সমালোচনা করে জড়িত ব্যক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষতিকর, নির্বোধ এবং সাম্প্রদায়িক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, লেবাননের সব বাসিন্দার জিয়াদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সরলতাই সব নয়, চিরন্তন সত্য হলো আমরা তার জন্য এবং তার দেশে প্রেমের জন্য গর্বিত। গণমাধ্যম কর্মীসহ অনেকেই এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন।