মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই

০৬ মার্চ ২০১৮, ০৯:৪৩ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম


মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই
অনলাইন ডেস্ক মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়ভাষিণী খবরটি নিশ্চিত করেছেন। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এবং ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ সকালে হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। গত বছরের নভেম্বরে বাসার স্নানঘরে পড়ে গিয়ে প্রিয়ভাষিণীর পায়ের গোড়ালির হাড় সরে যায়। পরে তাঁকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তখন চিকিৎসকরা তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে আর্থিক কারণে তাঁকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় নানার বাড়িতে। তার বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। ১৯৬৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন। পরে ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। তাঁর ছয় সন্তান, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। দেশের খ্যাতিমান এই ভাস্কর খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।