মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে সবুজ সংকেত পেলেন আতিকুল

২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:০২ এএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:১৬ পিএম


মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে সবুজ সংকেত পেলেন আতিকুল
অনলাইন ডেস্ক আনিসুল হকের উত্তরসূরী হিসেবে আওয়ামী লীগ কাকে বেছে নেবে; এমন প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে বেশ কিছু দিন থেকেই। দলীয় অবস্থান এখন পর্যন্ত না জানা গেলেও সামনে চলে এসেছে একটি নাম, ‘তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানীকারক সমিতি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম ’। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি নিজেই জানিয়েছেন: দলীয় প্রার্থীতা নিশ্চিতের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এখনও কাউকে বাছাই করা হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আতিকুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, হ্যাঁ। আমি সবার মুখ থেকে শুনেছি। আমাকে কাজ শুরু করতে বলেছে। গণসংযোগ করতেও বলা হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত শুরু করেছি। বিভিন্ন নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী আমাকে সায় দিয়েছেন। আমি সে অনুযায়ী কাজ শুরু করছি। সবার দোয়া প্রার্থী। জানা গেছে, নির্বাচন করার জন্য গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজিএমইএ’র এই সাবেক সভাপতি। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও সদস্যদের কাছে আতিকুল ইসলামের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এরপর তিনি ডিএনসিসির মেয়র পদের উপ নির্বাচনে দক্ষও স্বনামধন্য কোনও ব্যবসায়ীকে মনোনয়ন দেওয়ার আভাষ দেন। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসে আতিকুল ইসলামের নাম। মেয়র হলে আপনার পরিকল্পনায় কি কি থাকবে জানতে চাইলে আতিকুল ইসলাম বলেন: সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করবো আনিস ভাইয়ের (প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক) অসমাপ্ত শেষ করতে। কিভাবে নগরীকে সুন্দরভাবে সাজানো যায় সবাইকে নিয়ে সে বিষয়ে কাজ করবো। তবে আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়েছেন এমন খবর এখনও জানানো হয়নি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ চ্যানেল আইন অনলাইনকে বলেন, আওয়ামী লীগের হয়ে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজনীতি, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীসহ অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু দলীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে নেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরো বলেন, গত পরশু সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কাকে দেয়া হবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিবেচিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিজিএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন আতিকুল ইসলাম। ওই বছরের এপ্রিলেই ঘটে রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনা। সে সময় অত্যন্ত দক্ষতার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে তিনি তা মোকাবেলা করেছেন তৈরি পোশাক খাতের এই ব্যবসায়ী নেতা। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র পদে নিরবাচিত হন আনিসুল হক। দুই বছরের বেশি সময়ে সাফল্যর সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডনে প্রায় ৪ মাস গুরুতর অসুস্থ থাকার পর ৩০ নভেম্বর তিনি মারা যান। এর পর ৪ ডিসেম্বর আনিসুল হকের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট জারি করে ডিএনসিসি। এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মেয়র নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর পর থেকে ডিএনসিসি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হাইকমান্ডের পছন্দের শুরুতেই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এছাড়াও তালিকায় ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী, সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল, এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হামীম গ্রুপের কর্ণধার একে আজাদ।


এই বিভাগের আরও