না ফেরার দেশে জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৭ এএম


না ফেরার দেশে জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল
ফাইল ছবি

বিনোদন ডেস্ক:

ওপার বাঙলার জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মুম্বাইয়ের জুহু হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৬১ বছর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে- মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বাই গিয়েছিলেন তাপস পাল। সেখান থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুম্বাই বিমানবন্দরে পৌঁছালে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এই অভিনেতা। এরপর তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের জুহু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই ভোর ৪টায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তাপস পালের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসছে। শোক প্রকাশ করে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ওর শরীরটা খুব একটা ভালো ছিলো না। আর এখন এই খবরটি শোনার পর থেকে মনে হচ্ছে ঘোরের মধ্যে রয়েছি। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো ছিলো।

১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন তাপস পাল। এরপর ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন তাপস। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘বলিদান’ ‘কড়ি দিয়ে কেনা’র মতো একের পর এক সুপারহিট ছবি ভক্তদের উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

‘সাহেব’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ১৯৮১ সালে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঘরে তোলেন তাপস পাল।

শুধু বাংলা নয়, হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তাপস পাল। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে ‘অবোধ’ ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত শেষ ছবি ‘আটটা আটের বনগাঁ লোকাল’ মুক্তি পায় ২০১২ সালে।

২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন তাপস পাল। একই বছর এবং ২০০৬ সালে পরপর দুবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। পরে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালে রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় অভিনেতার। এর পরই তাকে যেতে হয় জেলে।


বিভাগ : বিনোদন


এই বিভাগের আরও