স্কুল পড়ুয়া ১০ লাখ শিশু পাবে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সনদ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৭:৫০ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ এএম
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
ইন্টারনেট সেবা আগামী ১ বছরের মধ্যে দেশে স্কুলে পড়ুয়া ১০ লাখ শিশুকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিশুদের অনলাইন অভিজ্ঞতা নিরাপদ হবে বলে জানানো হয়েছে। শিশু-কিশোররা অনলাইনে যেসব ঝুঁকি এবং বিপদের মুখোমুখি হয় তা কমিয়ে আনতে ইউনিসেফের সহায়তায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ এই কার্যক্রম শুরু করবে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনলাইন বিষয়ক ক্রমবর্ধমান সমস্যা ও ধারা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস: ভালো ইন্টারনেটের জন্য একত্র হই’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক বছরের মধ্যে আমরা ১০ লাখ স্কুলগামী শিশুকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের সনদ দেওয়ার মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করবো। এ সময়ে লুকায়িত অনলাইন ঝুঁকির বিরুদ্ধে আমাদের শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করবো।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে শিশু ও বাবা-মাদের মধ্যে স্থানীয় ইন্টারনেট কনটেন্ট সম্পর্কে প্রচার ও শিশুদের জন্য নেট এটিকেট বিষয়ক সেশন পরিচালনা করা হয়। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনাকে উৎসাহিত করা হয় এবং ইন্টারনেটের নিরাপত্তামূলক বিষয়গুলো সম্পর্কে শিশু, বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবহিত করা হয়।
এ সময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি ও সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা করার এবং ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনতে আমাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না। কারণ এটি একই সঙ্গে বিশাল জ্ঞান ও তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করে। যা আজকের এই বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
এর আগে ২০১৯ সালে ইউনিসেফের একটি জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। তাতে সাইবার নিপীড়ন (সাইবার বুল্যিং) বাংলাদেশে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩২ শতাংশ তাদের বাহ্যিক অবয়ব, পরীক্ষার ফল, ধর্ম ইত্যাদি কারণে অনলাইনে নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানায়। ‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শীর্ষক সমীক্ষার অংশ হিসেবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০-১৭ বছর বয়সী ১ হাজার ২৮১ শিশুর ওপর জরিপটি চালানো হয়। সমীক্ষা ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়স হওয়ার আগেই ডিজিটাল বিশ্বে প্রবেশ করতে শুরু করে। যদিও বেশি বয়সী শিশুরা কম বয়সী শিশুদের চেয়ে বেশি মাত্রায় সাইবার নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তবে সার্বিকভাবে সব শিশুই ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি এবং সাইবার নিপীড়ন আশঙ্কায় রয়েছে।
বিভাগ : তথ্যপ্রযুক্তি
- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ থাকতে পারে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ল ৫০ লাখ টাকার মালামাল
- বেলাব উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত
- শিবপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন
- নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন
- নরসিংদীতে ইসকন নিষিদ্ধ ও আস্তানা বন্ধ করতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
- আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
- নরসিংদী উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ভাংচুর, ক্ষতিপূরণ আদায় করে মীমাংসা করলেন ইউএনও
- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ থাকতে পারে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ল ৫০ লাখ টাকার মালামাল
- বেলাব উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত
- শিবপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন
- নরসিংদীতে অর্থনৈতিক শুমারি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন
- নরসিংদীতে ইসকন নিষিদ্ধ ও আস্তানা বন্ধ করতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
- নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
- আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা
- নরসিংদী উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ভাংচুর, ক্ষতিপূরণ আদায় করে মীমাংসা করলেন ইউএনও