হঠাৎ খিঁচুনিতে করণীয় কী?
২১ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:২৩ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১০ এএম
টাইমস ডেস্ক:
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিছু মানুষের একটা ভিড় চোখে পড়ল। কাছে যেতেই দেখা গেল এক পথচারী চোখ-মুখ উল্টিয়ে হাত-পা ছুড়ে কাতরাচ্ছেন, মুখ দিয়ে ফেনা বেরোচ্ছে। কেউ তাঁকে পানি দিচ্ছেন, কেউ ধরে আছেন হাত পা, কেউবা জুতা ধরেছেন নাকে, কেউবা ভয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। কেউ একে বলছেন খিঁচুনি, কেউবা মৃগীরোগ বা পাগলামি, কেউবা ভূত-প্রেতের আসর। আসলে কী এই খিঁচুনি? হঠাৎ খিঁচুনিতে করণীয়ই-বা কী?
খিঁচুনি একটি স্নায়বিক রোগ। এ জন্য মস্তিষ্কের অতিসংবেদনশীলতা দায়ী। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে। সাধারণ মানুষ খিঁচুনিকে মৃগীরোগ বলে। আসলে মৃগীরোগ ও খিঁচুনি সম্পূর্ণভাবে এক নয়। বারবার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া খিঁচুনি হওয়াকেই এপিলেপসি বা মৃগীরোগ বলা হয়।
কেন হয়
শৈশবে হলে, সাধারণত তেমন কোনো কারণ পাওয়া যায় না। এ ধরনের খিঁচুনিকে প্রাইমারি এপিলেপসি বা কারণবিহীন মৃগীরোগ বলা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে, মস্তিষ্কে সংক্রমণ হলে অথবা জন্মের সময় মাথায় কোনো আঘাত পেলে, অক্সিজেন পেতে দেরি হলে অথবা শিশুর ওজন কম হলে বা সময়ের আগে জন্ম নিলে, তাদের কখনো কখনো এপিলেপসি হতে দেখা যায়।
আরও কিছু সমস্যা সাধারণত বড়দের দেখা দেয়। যেমন রক্তে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে, শর্করা কমে গেলে, মাথায় কোনো আঘাত পেলে বা টিউমার হলে, মস্তিষ্কে সংক্রমণ বা স্ট্রোক হলে খিঁচুনি হতে পারে। মৃগীরোগীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ওষুধ সেবনেও খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। আসলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো কারণই জানা যায় না। কিছুটা বংশগত কারণেও খিঁচুনি হতে পারে।
খিঁচুনিতে তাৎক্ষণিক করণীয়
আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। কাছাকাছি আগুন, গরম পানি, ধারালো কিছু থাকলে সরিয়ে নিতে হবে। আরামদায়ক অবস্থায় কাত করে শুইয়ে দিতে হবে, যাতে মুখের সব লালা বাইরে পড়ে যেতে পারে। মুখে এই সময় চামচ, পানি বা কোনো কিছুই দেওয়া যাবে না। এতে দাঁত বা জিহ্বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শ্বাসকষ্টও শুরু হতে পারে। অনেক সময় আমরা চেপে ধরি যেন খিঁচুনি না হয়, নাকে জুতা ধরা হয়—এগুলো করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
রোগনির্ণয়
মৃগীরোগীর জন্য রোগীর ইতিহাস রোগনির্ণয়ের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কতগুলো পরীক্ষা রয়েছে মস্তিষ্কের। একটি হলো ইলেকট্রোইনসেফালোগ্রাম। এটা উপসর্গভিত্তিক রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে। আর একটি হলো মস্তিষ্কের ইমেজিং—সিটি স্ক্যান বা এমআরআই। বিশেষ ক্ষেত্রে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন রক্তের ইলেকট্রোলাইট, শর্করা, মেরুদণ্ডের রস ইত্যাদি।
চিকিৎসা
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খিঁচুনির কারণ নির্মূল হলেই রোগ ভালো হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে পুনরায় খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। কিন্তু মৃগীরোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, এমনকি সারা জীবনও প্রয়োজন হতে পারে। তাই একজন নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মৃগীরোগের চিকিৎসা করানো উচিত। শিশুদের চিকিৎসা যথাসময়ে না হলে মেধা এবং বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পায়।
লেখক: ডা. মধুরিমা সাহা, রেজিস্ট্রার, ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।
বিভাগ : জীবনযাপন
- অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেয়া হবে: ড. আব্দুল মঈন খান
- নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর প্রতিবাদ
- নরসিংদীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে মতবিনিময় সভা না করেই ফিরে গেলেন সারজিস আলম
- গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
- ৮ নভেম্বর রায়পুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ম্যারাথন
- ঘোড়াশালের জঙ্গল হতে শটগান উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
- পলাশে হামলা ভাংচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা
- পলাশে জুটমিলে হামলা-ভাঙচুর লুটপাট ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত
- অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেয়া হবে: ড. আব্দুল মঈন খান
- নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর প্রতিবাদ
- নরসিংদীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে মতবিনিময় সভা না করেই ফিরে গেলেন সারজিস আলম
- গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
- ৮ নভেম্বর রায়পুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ম্যারাথন
- ঘোড়াশালের জঙ্গল হতে শটগান উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
- পলাশে হামলা ভাংচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা
- পলাশে জুটমিলে হামলা-ভাঙচুর লুটপাট ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত