যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন শিশুর ডেঙ্গু হয়েছে কি না...
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫, ০৬:৫২ এএম

জীবনযাপন ডেস্ক:
বর্ষার সময় বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। এই সময় বৃষ্টির পানি বিভিন্ন জায়গায় জমে মশার বংশবিস্তার ঘটে। এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গুর ভাইরাস সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে শিশুরা বড়দের মতো তাদের সমস্যা কাউকে বলতে পারে না। তাই শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের যত্নশীল হতে হবে এই বর্ষার সময়।
ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে শিশুর জ্বর মানেই যে ডেঙ্গু হয়েছে এমন নয়। লক্ষণ দেখে বুঝবেন শিশুর ডেঙ্গু হয়েছে কি না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো...
(১). শিশুর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়, কিছুই খেতে চায় না। বমি বমি ভাব হয় বা কিছু খেলেই বমি করে দেয়।
(২). জ্বরের মাত্রা ১০২ ও ১০৩ ডিগ্রী এর থেকেও বেশি থাকতে পারে। এভাবে জ্বরটা তিন থেকে পাঁচ দিন থাকে।
(৩). মাথাব্যথা, চোখব্যথা, বমি, পেটেব্যথা সঙ্গে পাতলা পায়খানা থাকতে পারে।
(৪). শরীরে দানা দানা র্যাশের মতো দেখা দিতে পারে। এসময় শিশু একেবারে নিস্তেজ হয়ে যায়।
(৫). চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হওয়া। এটা মূলত অ্যাফেব্রাইল স্তরে বেশি হয়ে থাকে।
(৬). প্লাটিলেট খুবই কম। অনেক সময় দেখা যায় ৩ লাখ থেকে ৪০ হাজারে নেমে যায়।
(৭). ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর প্রস্রাব না হওয়া ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।
ডেঙ্গুর এই জ্বরকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। এর মধ্যে
(১). প্রথমত ফেব্রাইল ফেজ- শিশুর ডেঙ্গু জ্বর দুই থেকে তিনদিন বা তার চেয়ে বেশি স্থায়ী হলে।
(২). দ্বিতীয়ত অ্যাফেব্রাইল ফেজ- এসময় বাচ্চার আর জ্বর থাকে না। সাধারণত এর সময়কাল থাকে ২ থেকে ৩ দিন।
(৩). তৃতীয়ত কনভালিসেন্ট ফেজ- যখন শিশুর শরীরে র্যাশ দেখা যায়। এর সময়কাল থাকে ৪-৫ দিন।
তালহা অ্যাফেব্রাইল ফেজে অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলেছেন। কারণ, এই ক্রিটিকেল ফেজে শিশুর জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর রোগটি সংকটপূর্ণ অবস্থায় চলে যেতে পারে। এই সময়ে রোগীর শরীরে প্লাজমা লিকেজ হয়ে বিভিন্ন অংশে জমা হয়ে থাকে। এ কারণে রোগীর পেট ফুলে যায় বা রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দেয় এবং যার কারণে শিশুদের শক সিনড্রোম হতে পারে। তাই জ্বর সেরে যাওয়ার ২ থেকে ৩ দিন শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। দ্বিতীয়বার যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় তখন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিভাগ : জীবনযাপন
- পলাশে বিএনপির শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
- পলাশে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
- পাঁচদোনায় তিন গাড়ির সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ২, আহত ১২
- বেলাবতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অন্তত ১০ জন
- এ বছর ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে
- পলাশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো যুবককে আর্থিক অনুদান বিএনপির
- কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে :প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- পলাশে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ: রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তার
- মব জাস্টিস অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের নাটকীয় খেলা: সেলিমা রহমান
- নরসিংদীতে ৩ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির উদ্বোধন
- পলাশে বিএনপির শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
- পলাশে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
- পাঁচদোনায় তিন গাড়ির সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ২, আহত ১২
- বেলাবতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অন্তত ১০ জন
- এ বছর ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে
- পলাশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো যুবককে আর্থিক অনুদান বিএনপির
- কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে :প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- পলাশে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ: রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তার
- মব জাস্টিস অন্ত:বর্তীকালীন সরকারের নাটকীয় খেলা: সেলিমা রহমান
- নরসিংদীতে ৩ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির উদ্বোধন