ফেসবুক থেকে যৌনতা ; হাজার তরুণের নামে মামলা

১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৬ এএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম


ফেসবুক থেকে  যৌনতা ; হাজার তরুণের নামে মামলা
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_1343" align="alignnone" width="640"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে এক হাজার ৪ তরুণের বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোর-কিশোরীর যৌনতাপূর্ণ কন্টেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছে ড্যানিশ পুলিশ। ডেনমার্কের জাতীয় পুলিশ বাহিনী সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগকে সরাসরি শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগ হিসেবে দায়ের করা হতে পারে। মামলাটিকে ‘অনেক ব্যাপক এবং জটিল’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে বিবৃতিতে। গত বছর ডেনমার্কের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত কিশোরীরা জানান কীভাবে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে শুধু পার্টনারের জন্য ধারণ করা ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও পরে প্রতিশোধমূলক পর্ন হিসেবে ছড়ানোর ফলে তাদের ও তাদের পরিবারের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তখন থেকে এই রিভেঞ্জ বা প্রতিশোধমূলক পর্নোগ্রাফি ও তা ছড়ানোর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি উঠতে থাকে সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে। এর সঙ্গে যোগ হয় ‘মি টু হ্যাশট্যাগ’ আন্দোলন। দুয়ে মিলে দেশটির পুলিশও আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে থাকে। আর এই মি টু হ্যাশট্যাগের মধ্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন তথ্যের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসতে থাকে শিশু পর্নোগ্রাফির নানা ঘটনা। তবে এসবের মধ্যে দুই কিশোর-কিশোরীর ছবি ছড়ানোর দায়ে এই এক হাজার ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও মামলা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ঘটনা। ড্যানিশ পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মার্কিন প্রশাসনকে জানায়, ফেসবুকের চ্যাট প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জারে ওই কিশোর-কিশোরী যুগলের দু’টো যৌনতাপূর্ণ ভিডিও ও একটি ছবি পাওয়া গেছে, যা ক্রমশ ছড়াচ্ছে। এই তথ্যটি যুক্তরাষ্ট্র জানায় ইউরোপীয় পুলিশকে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই চলে অনুসন্ধান এবং পরবর্তীতে অভিযোগ আনার ঘটনা। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই কন্টেন্টগুলো দুয়েকবার বিনিময় করেছে। কিন্তু বাকিরা শেয়ার করেছে কয়েকশ’বার। এদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এক হাজার ৪ জনের মধ্যে প্রায় ৮শ’ জনই পুরুষ। মামলায় সাজা হলে এদের কারাদণ্ড হতে পারে এবং এর ফলে পেশাগত লাইসেন্স, শিশু লালনপালনের অধিকার, এমনকি অভিবাসনের অনুমতিও বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে ড্যানিশ পুলিশ। পুলিশ ইনস্পেক্টর লাউ থাইগেসেন বলেন, ‘বিষয়টিকে আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। কেননা এর সঙ্গে জড়িতদের ওপর বিষয়টি অনেক বেশি গুরুতর প্রভাব ফেলছে।’ তবে শুধু শাস্তি নয়। এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা প্রচারের চেষ্টাও চলছে বলে জানান তিনি। যেন অপ্রাপ্তবয়স্করা যে কোনো কিছু করার আগে ভালোভাবে ভেবে নেয়।


এই বিভাগের আরও