পলাশে গুলিতে নিহত ছাত্রদল কর্মীর দাফন সম্পন্ন, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

২২ জুন ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ১১:২৯ পিএম


পলাশে গুলিতে নিহত ছাত্রদল কর্মীর দাফন সম্পন্ন, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেন (২৬) এর জানাজা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিকাল ৪ টার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ডে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার পারিবারিক কবরস্থানে ইসমাঈল হোসেনকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার ৬দিন পর তার মৃত্যু হয়।

এ দিকে জানাজা নামাজ শেষে পলাশ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইসমাঈল খুনের দায়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের ফাঁসি দাবি এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পলাশ থানা ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

গত রোববার (১৫ জুন) বিকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত ইসমাঈলকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন পর মারা যান ঈসমাইল হোসেন। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে এ ঘটনায় (১৫ জুন) রোববার রাতে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় মামলা করেন।


এছাড়া ঘটনার দুই দিন পর (১৭ জুন) বিএনপি নেতা জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি পাল্টা মামলা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ফজলুল কবির জুয়েল নরসিংদী কারাগারে রয়েছেন।



এই বিভাগের আরও