এই দুঃসময়ে মাহমুদউল্লাহর কিছু কথা...

০৫ এপ্রিল ২০২০, ০৯:২৪ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯ এএম


এই দুঃসময়ে মাহমুদউল্লাহর কিছু কথা...
ফাইল ছবি

স্পোর্টস ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে মাঠে ক্রিকেট না থাকায় নিজ বাসাতেই ফিটনেস নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ব্যতিক্রম নন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজের ঘরেই ফিটনেস চর্চা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিজের ভেরিফাইড পেইজে ট্রেডমিলে জগিং করার ভিডিও পোস্ট করেছেন 'দ্য সাইলেন্ট কিলার'।

করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রিকেটাররা যেন নিজেদের ফিটনেস ঠিক রাখে সে জন্য গত বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্ড (বিসিবি) নির্দেশনা দিয়েছেন খেলোয়াড়দের। বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান নিক লি এই নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে ঘরেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।

এদিকে গত ২৮ মার্চ করোনাভাইরাস নিয়ে ফেসবুকে ৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দেন মাহমুদউল্লাহ। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আশা করছি সবাই বাসায় আছেন, সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন। একটা বিষয় হঠাৎ করে মাথায় আসল, তাই ভাবলাম এ বার্তাটা আপনাদের দেই। শুক্রবার রাতে বিষয়টি মাথায় এসেছিল। হয়তো এভাবে অনেকেই চিন্তা করেছেন।

'আমরা কয়েক দিন ধরেই বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্যদিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি। বই পড়ছি। ব্যায়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। এ সব কাজগুলোর মাঝে যেহেতু আমরা কয়েকদিন বাসায় আছি, আমাদের ভেতরে হয়তো একটু অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু বরিং ফিল হতে পারে।'

'এতে মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। একটু কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারও মাথায় কিংবা মনে এরকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে, সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেরে ফেলি। কারণ এ মুহূর্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি। এই নিয়মটা যেন আমরা মেনে চলি। এটা যতটুকু আমার জন্য প্রযোজ্য ঠিক আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য। আবার অন্যদের এবং তাদের পরিবারের জন্যও প্রযোজ্য। নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।'

'সবাই তো জানি যে আমাদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া যেন ঘর থেকে বের না হই। যদি বের হই তাহলে যেন মাস্ক ব্যবহার করি। সর্দি, কাঁশির সময় যেন আমরা বাহু ব্যবহার করি ও টিস্যু ব্যবহার করতে পারি। এই সমস্ত নিয়মগুলো যেন আমরা মেনে চলি। এখন সময়ের দাবি আমরা যেন সবাই বাসায় থাকি। এটা সবার জন্য মঙ্গলজনক।'

'আর একটা জিনিস না বললেই নয়, আমাদের ডাক্তাররা, আমাদের নার্সরা এবং যারা চিকিৎসা সেবায় এই মূর্হুতে নিয়োজিত আছেন তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এ দুঃসময়ে কোভিড-১৯ এর মতো এই রোগের সময় আপনারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, যেভাবে দেশকে সেবা দিচ্ছেন সেজন্য মন থেকে আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি এ মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন।'

'আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, যেটা এখন আমাদের বেশি পোড়াচ্ছে, সেটা হচ্ছে যারা শ্রমজীবি মানুষ তারা এখন এ মুহূর্তে হয়তোবা বেকার হয়ে পড়ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোটা অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়ছে। তো আমরা চেষ্টা করব যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাদেরকে সাহায্য করার। তো এই জিনিসগুলো আমরা কিছুদিন মেনে চলি। সবাই নিজেদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একত্রে মিলে কাজ করি। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ কঠিন সময় পার করব এবং ভালো সময় আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে মিলে চেষ্টা করি, দেশকে সবাই মিলে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করি। সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।'


বিভাগ : খেলা


এই বিভাগের আরও