ঢাকার চারপাশের ব্রিজ ভেঙ্গে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

২৬ জুন ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম


ঢাকার চারপাশের ব্রিজ ভেঙ্গে নৌ চলাচলের উপযোগী করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর উপর নির্মিত ব্রিজ ভেঙ্গে নৌ চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রেগুলেটর ও ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচারসমূহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে হস্তান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর উপর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো নৌ-যান চলাচল উপযোগী নয়। ইতিমধ্যে এসব সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভেঙ্গে নৌ-যান চলাচল উপযোগী করে নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নৌ রুট চালু করতে পারলে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক অনেকটাই কমে আসবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তরের পর সেগুলো পরিস্কার/খনন/পুনঃখনন/সংস্কার এবং অনেক অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া জায়গা ও খাল উদ্ধার করার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জলাবদ্ধতা অনেক কম হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেতো। আজ কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই।

তিনি বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবেনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কথার সাথে কাজের মিল রাখতে হবে। কোনো কাজ করতে শুরু করতে যদি দুই বছর যায়। আবার বাস্তবায়ন করতে ৫-৭ বছর লাগে। তাহলে এর সুফল মানুষ পাবে কখন, প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাসাবাড়িতে সেপ্টিট্যাংক নাই। বাসা মালিকরা নিজেদের সুয়ারেজ লাইন সরাসরি খালে দিয়ে রেখেছেন। অনেক বার বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল সন্তষজনক নয়।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু সতর্ক করে হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা সুয়ারেজ লাইন খালে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিলে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেপ্টিট্যাংক না করলে সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এই শহকে পরিকল্পিতভাবে বাসযোগ্য নগরী গড়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই মেয়র নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক দৃশ্যমান কাজ করেছেন তারা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও