পুরুষ এডিস মশাকে বন্ধ্যা করে ডেঙ্গু রোধ করা সম্ভব

০৪ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৬ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ পিএম


পুরুষ এডিস মশাকে বন্ধ্যা করে ডেঙ্গু রোধ করা সম্ভব

টাইমস ডেস্ক:

পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে নতুন এক উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তারা দাবি করেছে, স্ত্রী জাতীয় নয়, পুরুষ জাতীয় মশাকে বন্ধ্যাকরণের মধ্য দিয়ে এই মশার বংশবিস্তার রোধ সম্ভব। যার নাম দেওয়া হযেছে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক বা এসআইটি।

এই পদ্ধতিতে পুরুষ মশাকে বন্ধ্যা করে প্রকৃতিতে ছাড়া হবে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পারলেও তা নিষিক্ত হবে না।  প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহফুজা খান জানান, এখানকার খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কীট জীব প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপক আকারে মশা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের এই উদ্ভাবন দেখতে যান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি এই উদ্ভাবনের ব্যাপক প্রশংসা করে বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে পছন্দ করি। যারা সরকারে ও দায়িত্বশীল জায়গাগুলোতে আছেন তারা সব সময় চান এমন কিছু করতে যা দেশের মানুষের উপকারে আসবে। এই উদ্ভাবন শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এই উদ্ভাবন দেশের মানুষের উপকারে আসবে। উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, এই পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকমেরই। পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়টি গবেষণাগারে কার্যকর বলে প্রমাণ হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় এই মশা অবমুক্ত করা হলে তা স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হয়। ওই স্ত্রী এডিস মশার ডিম বা লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার বংশবিস্তার কমে যেতে থাকে। এই পদ্ধতিতে শুধু বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম এবং তা মানুষকে কামড়ায় না। বিজ্ঞানীরা বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। পাশাপাশি এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। তাই পরিবেশের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এম আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও