কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে আগুন, শিশুসহ নিহত ৩

১০ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১৫ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম


কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে আগুন, শিশুসহ নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার চান্দিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৩ জন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে শিশু রবজার (৭) এর পরিচয় পাওয়া গেছে। রবজা কুমিল্লার অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে। বাকি দুইজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে একজন পুরুষ ও একজন নারী বলে ধারণা করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের সকলের ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়।

মহিউদ্দিন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের উপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা কয়েকজনকে উদ্ধার করি এবং ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি।

অপর প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূঁইয়া জানান, মহাসড়কে থ্রি হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি করে লোকাল যাত্রী যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পারি।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিক উদ্দিন মুন্সি বলেন, আমরা এসে ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই। আর শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করি। এর আগে আরও ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে আনার পর তাঁদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেম এর ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিন এর ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহতাবস্থায় সজিব ও মজনুকে সরাসরি কুমেকে আনার পর তাঁদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, নিহতদের মধ্যে ১ জন কন্যা শিশু, ১ জন নারী ও ১ জন পুরুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেওয়া হয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ