কাল থেকে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু

২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম


কাল থেকে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু
পুরনো ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন আগামীকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ভাঙা শুরু হবে। বিজিএমইএ ভবন ভাঙা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা গেছে, রাজউক ভবনটি ভাঙার দরপত্র আহ্বানের পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ভবনটি ভাঙার কাজ পায় ‘সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স’নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাদের দরপত্র ছিল এক কোটি ৭০ লাখ টাকার। সে অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশও দেয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায় সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স। শেষ মুহূর্তে সরে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে টাকা কেটে নেয় রাজউক। তারা এ ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে আসার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ফোর স্টার’গ্রুপকে কাজ দেয়া হয়। তাদের দরপত্রে টাকার পরিমাণ ছিল এক কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, বিজিএমইএ ভবন থেকে লিফট, এসিসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এখন যেহেতু লিফট, এসিসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী নেই, সে কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আগে তাদের দেয়া দর কমানোর দাবি জানায়। তাদের দাবি অনুযায়ী এক কোটি দুই লাখ টাকায় ভবনটি ভাঙতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ। এখন সে অনুযায়ী এক কোটি দুই লাখ টাকায় সনাতন পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করবে।

গত বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নিতে সময় বেধে দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় পার হওয়ার পর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত ১৬ এপ্রিল মাঠে নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরপর বিজিএমইএ ভবনে অভিযানে যায় রাজউক। প্রথম দিনই ভবনে থাকা বিভিন্ন অফিসের মালামাল সরিয়ে নিতে সুযোগ দিয়ে পরবর্তীতে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

২০০৬ সালের দিকে হাতিরঝিলে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। অপরিকল্পিতভাবে জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয় গত ১২ এপ্রিল। ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণের জন্য বিজিএমইএ-কে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও