বঙ্গবন্ধু কখনও এককভাবে সিদ্ধান্ত নেননি: শিক্ষামন্ত্রী

০৭ জুন ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ এএম


বঙ্গবন্ধু কখনও এককভাবে সিদ্ধান্ত নেননি: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবার সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছেন। কোথাও কখনো তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেননি। যখনই তিনি কোন কাজ করেছেন, তখনই বুদ্ধিজীবীসহ অন্যান্য সেক্টরের যারা আছেন তাদের মতামত নিয়েছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন।

বুধবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত '৬ দফা: বাঙালির মুক্তির সনদ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে তিনি সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময়ের মতো এখনো ভেতর বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের ভিতরে কিছু মানুষ আছে তারা ষড়যন্ত্র করছে কিভাবে আমাদের বাধাগ্রস্ত করা যায়। বিদেশেও কেউ কেউ আছেন যারা কিভাবে একটি দেশের  স্বাধীনতা স্পৃহা, দেশের এগিয়ে চলা, আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা সেটিকে কিভাবে দমন করা যায় সেই চিন্তায়।

তিনি বলেন, ৭ জুনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখবারও বিষয় আছে। আজকে আমাদের অবিচল থাকতে হবে, আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের স্বাধীনতার যে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সে বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারো বিভ্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই।

আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস বাঙালির মুক্তির সনদ, যা উত্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের মতে, ছয় দফা দাবি আমাদের বাঁচার দাবি। তাঁর ভাষে ̈ বলতে গেলে, ‘আমরা পাকিস্তানের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করি, তবে আমাদের ন্যায্য দাবিও চাই, অন্যকে দিতেও চাই। কলোনি বা বাজার হিসেবে বাস করতে চাই না। নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার চাই।’

আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সৎ সাহসই তাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি পাকিস্তানে গিয়ে ছয় দফা পেশ করেছেন, যেন সেখানকার মানুষকেও মোটিভেট করা যায়। তাইতো তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভাজক হতে পেরেছিলেন। ছয় দফার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে তাকে দেশদ্রোহী বলা হলো, তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর ষড়যন্ত্র হলো। আজও এই দেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তখনকার সেই পাকিস্তানিরাই আজ আবার এই দেশকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। আমাদের এসবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করেছেন। ছয় দফা হল  স্বাধীনতার মূল মন্ত্র। বঙ্গবন্ধু এতটাই আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন যে বাঙালিরা যেমন ছয় দফাকে সমর্থন

করবেন, ঠিক তেমনি পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের মানুষ যেন ছয় দফাকে সমর্থন করে। কারণ, ছয় দফা প্রতিটি মানুষের মুক্তির সনদ। এটি শুধুমাত্র বাঙালির মুক্তির সনদ নয়। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের মুক্তির সনদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক। এ সময় তিনি আলোচনা সভায় উপস্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম সভায় উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও