শেখ হাসিনার আমলে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিরাপদ: গণপূর্ত মন্ত্রী

১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩১ পিএম


শেখ হাসিনার আমলে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিরাপদ: গণপূর্ত মন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনন্য নিরাপত্তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার। শেখ হাসিনার আমলে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিরাপদ। একটি জাতি বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর পরিচয় বহন করে। সকলের মত ও পথ নিয়েই বাংলাদেশ। দেশে সব ধর্মের মানুষ রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে এবং পাবে”।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর ২০১৯) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গারো সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করে অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। গারো সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ধারণায় একাত্ব থেকে বাংলাদেশের  সকল স্বাধীকার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন”।

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এদেশের প্রত্যেকটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার তিনি নিশ্চিত করবেন। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে। একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা সরকার চায় না। যদি কেউ করে তার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নেবে”। কোন জাতি-গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পালনের ক্ষেত্রে কোনভাবে যেনো বাধার সম্মুখীন না হয় সে জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

গারো সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়েই বাঙালি জাতিসত্ত্বা। আমরা চাই আপনাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি টিকে থাকুক। পাহাড়ীদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সমতলের বাঙালিদের প্রতিষ্ঠা আওয়ামী লীগ করেনি, শেখ হাসিনা সরকার করেনি। যারা করেছে তাদের ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা চান এদেশ হবে সকল ধর্মের মানুষের। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আপনাদের ভাষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করুন। এগুলো যেনো হারিয়ে না যায়। সরকার সকল পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। আপনাদের যেকোন সমস্যা শেখ হাসিনা সমাধান করবেন”।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, “গারোদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি হারিয়ে গেলে বাঙালি সংস্কৃতির ক্ষতি হবে। এজন্য সরকার মনে করে গারোদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে হবে। এজন্য ভিন্ন একাডেমি হতে হবে। গবেষণা হতে হবে। গারোদের সন্তানরা আধুনিক লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি তার অস্তিত্বের শেকড় যেনো ভুলে না যায়। শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গারো সম্প্রদায়ের মানুষের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। দ্বিতীয় পরিচয় আমরা বাঙালি। তারপরের পরিচয় আমরা কে কী ধর্মের। বাঙালিত্বকে সকলে মিলে ধারণ করতে হবে”।

গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুকুল চিছামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক থিওফিল নওরেক, গারো ওয়ানগালার নকমা (সমাজ প্রধান) সাগর রিছিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডেরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ খান, ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান খান প্রমুখ।  


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও