এপ্রিল ফুল পালন: মুসলমানদের জন্য চরম কলঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়

০১ এপ্রিল ২০২০, ১০:১৫ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৪ এএম


এপ্রিল ফুল পালন: মুসলমানদের জন্য চরম কলঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়
ফাইল ছবি

জীবনযাপন ডেস্ক:

এপ্রিল ফুল দিবস প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিন পালিত হওয়া একটি দিবস। মাঝে মাঝে একে সকলকে বোকা বানানোর দিন বলে উদযাপন করা হয়। এই দিন প্রতিবেশীদের উপর কৌতুক করার জন্য একটি দিন হিসাবে সর্বত্র স্বীকৃত। এদিনে স্পেনের রাণী ইসাবেলা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এপ্রিল ফুল পালন করা মুসলমানদের জন্য চরম কলঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাই এ থেকে ঈমানদার মুসলমানদের বিরত থাকতে হবে এবং কোন মুসলমানের সন্তান যেন এ দিনে ধোঁকা না দেয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এপ্রিল ফুলের ধোঁকা থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।

পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদেরকে এপ্রিল ফুল পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা বলেন, ১৪৯২ সালের ‘পহেলা এপ্রিলে’ রাণী ইসাবেলা কর্তৃক মুসলমানদের চরম ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ঘোষণা দিয়ে বলে যদি বাঁচতে চাও কর্ডোভার জামে মসজিদে সমবেত হলে প্রাণভিক্ষা দেয়া হবে।

অতঃপর এই বলে সম্মিলিত হাজার হাজার আলেম-উলামা, সাধারণ মুসলমান, নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও নিরীহ নাগরিকগণ মসজিদে অবস্থান নিলে তাদেরকে অগ্নিসংযোগ করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। একইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে জাহাজে চড়িয়ে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। অন্য এক তথ্যে জানা যায়, কর্ডোভার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি বড় জাহাজে মুসলিম নারী ও শিশুদের উঠিতে দিয়ে সেই জাহাজ ফুটো করে দেয়া হয়। জাহার ডুবে মারা যায় হাজার হাজার মুসলিম নারী শিশু।

খৃষ্ট জগতে বা মুসলিমবিদ্বেষী খৃষ্টান রাজ-রাণীর এ আনন্দঘন পৈশাচিকতার ঐতিহাসিক স্মারক দিবসই হচ্ছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ‘এপ্রিল ফুল’। তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল মুসলমানদের নাম-নিশানা।

মানবতার দুশমনরা পৃথিবী মুসলমান শূন্য করতে এহেন চক্রান্ত নেই যা তারা করেনি এবং করছে না। মুসলিম হত্যার নির্মম এই এপ্রিল ফুল মুসলমান পালন করতে পারে না। এদিনে মুসলমানদের জন্য জাতীয় শোক পালন করা উচিত।

তারা বলেন, মুসলিম ইতিহাসের চরম এই দিনে মুসলমানের অনেক সন্তান ইহুদিদের চক্রান্তের শিকার হয়ে অনেক ক্ষেত্রে না বুঝে এপ্রিল ফুল পালন করে মানুষকে চরম ধোঁকা দিয়ে আসছে। এ থেকে তাদের বিরত রাখা অভিভাবক ও শিক্ষকগণের দায়িত্ব।


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও