করোনাভাইরাস: ডা: সঞ্জয় ও শশাঙ্ক যোশির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

০৭ জুন ২০২০, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩ পিএম


করোনাভাইরাস: ডা: সঞ্জয় ও শশাঙ্ক যোশির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

জীবনযাপন ডেস্ক:

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উঠে এসেছে মহারাষ্ট্রের কভিড-১৯ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ডা: সঞ্জয় ওক ও ডা: শশাঙ্ক যোশির প্যানেল আলোচনায়। পাঠকদের জন্য দরকারি পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হল-

(১). কভিড-১৯ পজিটিভ হলেও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র করোনার উপসর্গ দেখা গেলেই হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

(২). প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৫০ মিলিগ্রাম জিংক এবং ট্যাবলেট এইচসিকিউ ৪০০ মিলিগ্রাম টানা চারদিন খেতে দিতে হবে। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট অজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ৫ দিনের জন্য সেবন করতে হবে।

(৩). করোনার রোগীদের মাঝে গুরুতর হওয়ার লক্ষণগুলো ৮-১০ দিনের মাঝে দেখা যায়।

(৪). অধিকাংশ প্রাণহানী ৭-১৪ দিনের মধ্যে ঘটে থাকে। এই সময় অতিবাহিত হয়ে গেল রোগীর প্রাণ হারানোর ঝুঁকি কম থাকে।

(৫). গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর কোন কাজের জিনিস নয়। ভেন্টিলেটরে রাখা রোগীদের ৮৮ শতাংশই মারা গিয়েছিল।

(৬). উচ্চ প্রবাহের নেস্যাল কাননুলা অক্সিজেন হল করোনা রোগীদের একমাত্র কার্যকরি চিকিৎসা।

(৭). রোগ নির্ণয়ের জন্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা উচিত নয়।

(৮). এখন ৫ থেকে ১০ শতাংশ জনগণের মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।

(৯). অসুস্থতার ১০ দিন পরে ভাইরাস আর বংশ বিস্তার করতে পারে না। তাই এ সময় পরে ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হলেও তিনি আর অন্যের জন্য সংক্রামক নন।

(১০). কিছু লোকের মধ্যে পরীক্ষা নেতিবাচক হতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

(১১). ডাক্তারদের কেবলমাত্র ক্লিনিক্যাল সন্দেহের ভিত্তিতে কভিড-১৯ চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়। আরো ভাল পরীক্ষা করা। ইসিজি এবং চেস্ট এক্সরে যদি স্বাভাবিক থাকে তবে পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।

(১২). কভিড পজিটিভ রোগী উপসর্গহীন হলে যোগাযোগ বন্ধ রাখা ও এইচসিকিউ প্রফিল্যাক্সিস ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।

(১৩). ভারতে করোনাভাইরাসের ১১ টি প্রতিরূপ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে।

(১৪). আমাদের পরের ২ বছর করোনাভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকতে হবে।

(১৫). হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকদের তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ পরামর্শটি নিম্নরূপ:

  • ক) স্বাস্থ্যকর খান, সময়মতো খান, খানিকটা কম খান।
    খ) ভাল প্রোটিন পরিপূরক নিন।
    গ) ভিটামিন সি ৫০০ মিলিগ্রাম দৈনিক নিন।
    ঘ) দৈনিক জিঙ্ক ৫০ মিলিগ্রাম।
    ঙ) ভিটামিন ডি প্রতিদিন।
    চ) দৈনিক সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা ঘুম।
    ছ) যোগ,ইয়োগা, ব্যায়াম।
    জ) তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন যা আপনাকে গলা ব্যথার জন্য দুর্বল করে তোলে।

(১৬). অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন, এটি আপনাকে দুর্বল করে তোলে। প্রতিটি পানীয় আপনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ বাড়িয়ে তোলে।

(১৭). সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। কাশি, সর্দি থাকলে বাড়িতে থাকুন এবং সামাজিক দূরত্ব স্থাপন করুন।

(১৮). মাস্ক ব্যবহার করুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

(১৯). অনিয়ন্ত্রিত আবেগগুলি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের মতোই খারাপ। মানসিকভাবে করোনাইজড হবেন না।

(২০). স্ব-শৃঙ্খলাবদ্ধ হোন এবং করোনাকে ছাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। (সূত্র: কালেরকণ্ঠ অনলাইন)


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও