মনোহরদীতে পাওনা টাকা না পেয়ে কুপিয়ে জখম ও লুটপাট

০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৪৮ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ এএম


মনোহরদীতে পাওনা টাকা না পেয়ে কুপিয়ে জখম ও লুটপাট

 

মনোহরদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মনোহরদীতে পাওনা টাকা না পেয়ে বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও কুপিয়ে জখমসহ নারীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের উত্তর নোয়াদিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী রাজু মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাজহারুল ইসলাম শাকিল (২৩) এবং ইসমাইল হোসেন (৩৬) নামে দুজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী রাজু মিয়া বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধায় বিলাগী গ্রামের আরিফের ছেলে আশরাফুল ইসলাম নিশাত, চঙ্গভান্ডা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রায়হান, জালাল উদ্দিনের ছেলে সুমন, রসুলপুর গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আজিজুল এবং কুড়িপাইকা গ্রামের আসাদের ছেলে তন্বির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ ১০-১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে আমার ছেলে শাকিলকে খুঁজতে থাকে। এসময় আমার স্ত্রী তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় তারা তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানী করে এবং আমার ছেলের কাছে একলাখ টাকা পাবে বলে দাবি করে। এসময় তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন দা-লাঠি দিয়ে বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। বাকীরা ঘরে প্রবেশ করে ওয়ারড্রব ও আলমিরা ভেঙ্গে ব্যবসার ১০ লাখ টাকা নিয়ে বের হয়ে যায়। হামলার খবর জানতে পেরে শাকিল বাড়ীতে আসার পথে হামলাকারীরা তাকেও দা দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকে বাঁচাতে চাচাতো ভাই ইসমাইল হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও একইভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়।

আচমকা এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় প্রতিবেশী কেউ ভয়ে এগিয়ে আসেনি। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেল রেখে দিগবিদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। পরে আহত শাকিল ও ইসমাইলকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকেই জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নিয়ে গেলে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ পেয়ে রাতেই একদুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক এবং মনোহরদী থানার এসআই হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম নিশাতের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে রাতেই পুলিশ পাঠনো হয়েছে। তবে থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



এই বিভাগের আরও