মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় কিশোর গ্রেপ্তার

২২ মে ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৩ এএম


মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় কিশোর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মনোহরদীতে টিকটক আইডি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মো. শরীফ (২১) নামের এক প্রবাস ফেরত যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোর গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মনোহরদী থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তার বাড়ি চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে। সে এই মামলার প্রধান আসামী। এছাড়া যার টিকটক আইডি উদ্ধারের জেরে এই হত্যাকাণ্ড, ওই মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। নানীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা মেয়েটির মা-বাবা ঢাকায় থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুইবছর আগে মেয়েটির সঙ্গে শরীফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে শরীফ সৌদি আরবে চলে গেলে মেয়েটি ওই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় কিশোরের মুঠোফোন থেকে মেয়েটি টিকটক ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়তো। শরীফ দেশে ফেরার পর ওই কিশোরকে এড়িয়ে আবার তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় মেয়েটি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কিশোর তার আইডি থেকে মেয়েটির আপত্তিকর ভিডিও ছাড়তে থাকেন।

ওই স্কুলছাত্রীর টিকটক আইডির নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত সোমবার বিকেলে উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে ওই কিশোরের ছুরিকাঘাতে আহত হন মো. শরীফ। তিনদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মো. শরীফ উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে।

গত মঙ্গলবার ওই কিশোরসহ ছয় জনকে আসামী করে নিহতের বাবার দেওয়া লিখিত অভিযোগটি বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হিসেবে রুজু করে পুলিশ। মামলায় যে ছয়জনকে আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে চারজনই কিশোর। দুইজন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন, একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, আরেকজন মাদ্রাসার ঝরে পড়া ছাত্র। অন্য দুইজন হলেন, প্রধান আসামীর বাবা ও চাচা।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, শরীফের পেটে-হাতে মোট পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এই মামলার প্রধান আসামীকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তারের পর এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে তাকে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হবে। বাকী আসামীরা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 



এই বিভাগের আরও