মনোহরদীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪২ এএম


মনোহরদীতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কলেজছাত্র খলিলুর রহমান (১৯) অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর তিনি মারা যান।

খলিল চন্দনপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. শাহাদত হোসেনের ছেলে এবং মনোহরদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ঐদিনই খলিলের মা লিপি বেগম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি নোয়াকান্দী হাজী আলিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে গিয়েছিল খলিল। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসার পথে নোয়াকান্দী বাজারের পাশে পৌঁছলে একই উপজেলার নলুয়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে ইকরাম হোসেন (২১), বাদল মিয়ার ছেলে বুলবুল (২০), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাইম (২২), বিল্লালের ছেলে নিশাত (২১) এবং তাদের অপর ৫-৭ জন সহযোগী মিলে খলিলকে রাস্তায় আটকিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে গালাগাল শুরু করে।

এতে সে প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী ইকরাম হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খলিলের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথার খুলি বের হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে সে মারা যায়।

নিহতের মা লিপি বেগম বলেন, পূর্ব আক্রোসের জেরে সন্ত্রাসীরা দিনেদুপুরে খলিলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার দিনই মনোহরদী থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আসামিরা আগেই গ্রেপ্তার হতো। এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে আগে কেউ অবগত করেনি। আজ মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।



এই বিভাগের আরও