ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সম্পাদককে নরসিংদী ছাত্রদল নেতার আইনী নোটিশ

২৮ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম


ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সম্পাদককে নরসিংদী ছাত্রদল নেতার আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নরসিংদী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে অস্ত্র ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল কর্তৃক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে ১৪ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন ছাত্রদল নেতা নাহিদ।

 

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ এর নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দি মহল্লার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ ও আইনী নোটিশের তথ্য জানানো হয়। এসময় নাহিদের মা সাজেদা বেগম, বড় ভাই নাদিম মাহমুদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় লিখিত বক্তব্যে নাহিদের মায়ের পক্ষে তার বড় ভাই নাদিম মাহমুদ বলেন, সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ একজন নিবেদিত প্রাণ ছাত্রদল কর্মী। ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে নরসিংদী সরকারী কলেজের এজিএস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সম্ভাব্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী ছিলেন নাহিদ। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল তার মনোনীত ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে প্রকৃত নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি।

 

এরই প্রেক্ষিতে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘কমিটিতে স্বজনপ্রীতি: অবাঞ্চিত ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক’ শীর্ষক সংবাদে ইকবাল হোসেন হোসেন শ্যামল তার বক্তব্যে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে জড়িয়ে উদ্যেশ্যমূলক ভাবে অস্ত্র ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, যা সঠিক নয়। আমরা পরিবারের পক্ষে এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আইনানুগ ভাবে দুই কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ করে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।

 

লিখিত বক্তব্যে নাদিম মাহমুদ আরও বলেন, এই পর্যন্ত ১২ টি রাজনৈতিক মামলা, বিভিন্ন মেয়াদে তিনবারের জেল ও সাড়ে আট মাস গুম ছিলো ছাত্রদল নেতা নাহিদ। নাহিদের আপন বড় ভাই হওয়ার কারণে ৬ টি মামলার আসামী হতে হয়। ২০১৭ সালের ৯ জুন গভীর রাতে ছাত্রদল নেতা নাহিদকে প্রশাসনের লোকজন বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা পরিবার থেকে নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। পরবর্তীতে নরসিংদী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সর্বশেষ মামলাটি সিআইডি তদন্ত করেন।

 

নাহিদ কে ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। গুম হওয়ার সাড়ে আট মাস পর ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদকে টাঙ্গাইলে অস্ত্র মামলা দিয়ে আদালতে তোলা হয়। এই মামলাসহ রাজনৈতিক মামলা ব্যতিত নাহিদের রাজনৈতিক পথচলায় প্রশাসনিকভাবে ব্যক্তিগত সাধারণ একটি জিডি পর্যন্ত নাই। গুমের হ্যান্ডওভার অস্ত্র মামলাটি গুম থাকাকালীন ডকুমেন্ট সাবমিট করার পর মহামান্য হাইকোর্ট স্থগিত ঘোষণা করেন। যেখানে মহামান্য আদালত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা স্থগিত করে সেখানে নাহিদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল কিসের ভিত্তিতে নাহিদ কে অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাংগঠনিক স্বীকৃতি দেয়? এই সাংগঠনিক মিথ্যাচারের পর প্রশাসনিকভাবে নাহিদের বড় ধরণের কোনো ক্ষতি হলে এই দায় কি শ্যামল নিবে? প্রশ্ন নাহিদের পরিবারের।  



এই বিভাগের আরও