নরসিংদীতে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি পালিত

২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৮:০০ পিএম | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ এএম


নরসিংদীতে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নরসিংদীতে শনিবার (২৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ এ কর্মবিরতীর ঘোষণা দেন।

কর্মবিরতি চলাকালীন সময় টিকাদান কাজবন্ধ করে জেলার ৬টি উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মনিপতাকা নিয়ে স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করেন।

তাদের দাবি হলো “নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ”।

কর্মবিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন দাবি আদায় বাস্তবায়ন পরিষদের রায়পুরার আহবায়ক স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ, পলাশের রওশন আলী, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন রায়পুরা উপজেলা শাখার সভাপতি বরকত আলী সরকার, সাধারন সম্পাদক হাজী শরিফুল ইসলাম, শিবপুরের আলতাফ হোসেন শিকদার, পলাশের শ্রীবাস চন্দ্রশীল, মোঃ বোরহান উদ্দিন, মনোহরদীর নুর হোসেন খন্দকার, সর্দার মাসুদ, সদর উপজেলার আফজাল হোসান, মনি বেগম, সোহরাব হোসেন, বেলাব উপজেলার মিজানুর রহমান মোল্লা ও আবু জাফর রনি প্রমুখ।

এ সময় হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন নেতারা বলেন, আমাদের এ তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে বাংলাদেশ যতটি পুরষ্কার পেয়েছেন তা একমাত্র আমাদের অর্জনের মাধ্যমেই। তারপরও সরকারের সকল কর্মচারি থেকে আমরা নানান বৈষম্যের শিকার। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যারা গৃহপালিত প্রাণীর চিকিৎসা প্রদান করেন তারা আজ বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যায় ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, সৃষ্টির সেবাজীব মানব শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরও তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি এখনো।

তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের যে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। আমরা এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।



এই বিভাগের আরও