এদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার, সরকার সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখে: শিল্পমন্ত্রী

০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:০৬ পিএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম


এদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার, সরকার সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখে: শিল্পমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যারা আছে সবার। সরকার সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখে, আলাদা করে না। আমাদের রাজনীতি সহাবস্থানের রাজনীতি। এক ধরনের ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্যক্রম ৫ম পর্যায় প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্ম অধিবেশনে ভার্চুয়াল আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজস্ট্রিট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঞা এবং নরসিংদীর হিন্দর্ধমীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট শ্রী ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসম্প্রদায়িক রাজনীতি করে আসছে। জাতির পিতা আমাদের শিখেয়েছেন অসম্প্রদায়িক ও গণমানুষের রাজনীতি করতে। আমরা যারা গণমানুষের রাজনীতি করি, আমাদের কমিটমেন্ট হলো মানুষ। জনগণই আমাদের মূল এবং শক্তি। সেবা নিয়ে সেই জনগণের কাছেই আমাদের যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার অংশ হলো মসজিদ-মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম। জাতির পিতা দেশ স্বাধীনতার পর সার্বজনীন বা সবার জন্য শিক্ষাব্যবস্থার ওপর গুরুত্বরোপ করে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজিয়েছিলেন। আর তাই তিনি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সূচনা করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করতেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিশুদের মানসিক গঠনে এই শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বিকাশে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবে এসব শিশুদের সহযোগিতা, পোশাক, খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে অতিথি ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মো. নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাস এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।