মা দিবসের গোড়ার কথা

১৩ মে ২০১৮, ১১:৫৩ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৯ এএম


মা দিবসের গোড়ার কথা
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_2438" align="alignnone" width="1400"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] ‘মা’ এক শব্দেই তার পূর্ণতা। মা পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক, মা মানেই হাজারো আবদার, মা হলো জাগতিক কিংবা পার্থিব সব শান্তির উৎস। সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের যে গভীরতা, তা আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি কিংবা পরিবারই বলে দেয়। ইসলাম ধর্মের কোরআনে ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’ কিংবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাবর্তীর দুই সন্তান গণেশ ও কার্তিকের মাতৃভক্তির পুরাণেও মায়ের প্রতি সম্মান-ভালোবাসার নজির আমরা পেয়েছি। তবে কালে কালে মাতৃত্ব, মায়ের প্রতি এই ভালোবাসা-শ্রদ্ধা, মাতৃত্বের বন্ধন ও নারী অবদানকে সম্মান জানাতে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ‘মা দিবস’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে দিবসটি আজ পালিত হলেও একেক দেশে একেক সময় ধরে দিবসটি পালিত হয়। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এই দিনে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মা দিবস। বিশ্বের প্রায় ৪৬টি দেশে এই দিনে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। কীভাবে হলো এই মা দিবসের প্রচলন! কথিত আছে, ব্রিটেনে প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ, সেখানে প্রতিবছর মে মাসের চতুর্থ রবিবারকে ‘মাদারিং সানডে’ হিসেবে পালন করা হতো। তবে সতেরো শতকে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটান মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস, মায়ের সঙ্গে সময় দেওয়া আর মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল তার দিনটির কর্মসূচিতে। তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ সালের ২ জুনে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। আরও আগের ইতিহাস বললে, দিবসটির সূত্রপাত প্রাচীন গ্রিসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে, যেখানে গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবিলির উদ্দেশে পালন করা হতো একটি উৎসব। এশিয়া মাইনরে মহাবিষ্ণুবের সময়ে এবং তারপর রোমে আইডিস অব মার্চ (১৫ মার্চ) থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে উৎসবটি পালিত হতো। প্রাচীন রোমানদের ম্যাত্রোনালিয়া নামে দেবী জুনোর প্রতি উৎসর্গিত আরও একটি ছুটির দিন ছিল। এদিন মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নানা জিনিস উপহার দেওয়া হতো।


এই বিভাগের আরও