নরসিংদীতে বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

১৩ আগস্ট ২০২০, ১২:৩৮ এএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৮ পিএম


নরসিংদীতে বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্না বেগম (ছদ্মনাম) প্রতিদিন মাধবদী থেকে ভেলানগর যাতায়াত করেন। করোনা মহামারীর আগে যেখানে ১০ টাকা গুণতে হতো এখন তাকে প্রতিবার ১৫ বা ২০ টাকা দিতে হয়। তর্কাতর্কি করে এবং খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতি দুই সিটে একজন নিয়মে ২০ টাকা দিতে হয়। খালি না থাকলে পাশাপাশি সিটে অন্য যাত্রীর সাথে পাশাপাশি বসেও ১৫ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। অথচ করোনার আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দিতেন ১০ টাকা।


স্বপ্না বেগম আক্ষেপ করে নরসিংদী টাইমসকে বলেন, কোন নিয়ম নেই, ‘আমার মতো দু’য়েকজন তর্ক করেন। কিন্তু অন্যরা মেনে নিচ্ছেন। তাতে কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না। উপরন্তু মেয়ে হয়ে তর্ক করে বাস কনট্রাকটর এমনকি সহ-যাত্রীদেরও কটু কথা শুনতে হয়। প্রতিনিয়ত এসব আচরণে ক্ষুব্ধ হলেও কাদের কাছে পরিত্রাণ চাইতে হবে তা তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পুরো নরসিংদী অংশেই বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। ‘লকডাউন’ শেষে আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল শুরু হলে শুরুতে নিয়ম মানলেও এখন ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।


এবিষয়ে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর নরসিংদী জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘‘সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া যাত্রীদের অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। এখানে অধিকারের চেয়েও বেশি হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি। ভুলে গেলে চলবে না, দেশে করোনার অন্যতম হটস্পট ছিলো নরসিংদী জেলা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শুরু থেকেই আমরা যাত্রী অধিকারের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। কয়েকদিনের মধ্যেই ভাড়া নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্য সুরকক্ষা বার্তা তুলে ধরে ‘হ্যান্ডবিল’ বিলি করব।”


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, “প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তারাও অভিযান পরিচালনা করবেন।” তিনি আরও যোগ করেন, “এখানে শুধু যাত্রী অধিকার নয়, সর্বসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।



এই বিভাগের আরও