পলাশে ইউপি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

৩১ জুলাই ২০২১, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম


পলাশে ইউপি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশের গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলাসহ চেয়ারম্যানের কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শপথ গ্রহণের পরে নবনির্বাচিত (স্বতন্ত্র) ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এঘটনায় শুক্রবার রাতে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম আলমগীর। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।


শনিবার বিকাল তিনটায় পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছে পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মৃধা ও গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, বিদায়ী চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ২১ জুন প্রথম ধাপের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বদরুজ্জামান ভুইয়াকে পরাজিত করে বিএনপি জামাত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী জয়লাভ করেন এবং গত ২৮ জুলাই নবনির্বাচিত চেয়াম্যান জাকির হোসেন শপথ গ্রহণ করেন। পরে ২৯ জুলাই চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলে দেন। পরে পরিষদে থাকা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বাঁধানো ছবি, চেয়ারম্যানদের নামের তালিকার বোর্ডসহ ভাংচুর চালায়। এছাড়া বাইরে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আলমগীর বাদী হয়ে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি, জেলা আ.লীগের সদস্য মাহফুজুল হক টিপু, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গজারিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। তবে পোস্টার ও ছবি কে বা কারা ছিড়ে ফেলেছে বলে শুনেছি।

যোগাযোগ করা হলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসিরউদ্দীন বলেন, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর অাইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



এই বিভাগের আরও