ভারী বর্ষণে শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে ভাঙন

১৯ জুন ২০২২, ০৭:২৫ পিএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২ পিএম


ভারী বর্ষণে শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে ভাঙন

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে গত দুই দিনের বর্ষণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেতুর পূর্ব পাশের সড়কে ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত হয়ে মাটি ও ব্লক দেবে গেছে। এতে সড়ক ও সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির দেবে যাওয়া অংশে ইট ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং লাল পতাকা টানিয়ে সতর্কতা জানানো হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিলেট, নরসিংদী, ঢাকা, গাজীপুর জেলার প্রায় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। গত শুক্রবার ও শনিবারের বৃষ্টিতে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। রবিবার সরেজমিন গিয়েও এ ভাঙন দেখা গেছে। তবে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ইট ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু সড়কের সিএনজি চালক মোঃ মজিবুর রহমান জানান, দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে এ সড়কের একটি অংশ দেবে যাওয়ায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে। দেবে যাওয়া অংশে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বাতিও অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাতের বেলায় অন্ধকার থাকায় সিএনজি, বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতোমধ্যে ভারী যানবাহনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এই সংযোগ সড়কটি। রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাই দ্রুত এই সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার ও মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘোড়াশাল শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। দীর্ঘ বছরের পুরোনো সড়ক ও সেতু হওয়ায় এমনটি হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, খুবই দ্রুত এটি মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।



এই বিভাগের আরও