পলাশে জামায়াতের সভায় হামলার প্রতিবাদে ৫ দলের প্রার্থীর যৌথ প্রতিবাদ

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ এএম


পলাশে জামায়াতের সভায় হামলার প্রতিবাদে ৫ দলের প্রার্থীর যৌথ প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকার শেখেরচরে গত বুধবার বিকেলে জামায়াতের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় বিএনপি কর্তৃক হামলার ঘটনায় সম্মিলিত প্রতিবাদ জানিয়েছে সমমনা ৫টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকালে পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর কলা বাজারে এক যৌথ সভায় এ প্রতিবাদ জানান তারা।

 

৫ জন প্রার্থী হলেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের প্রার্থী সারোয়ার তুষার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মহসিন আহমেদ, খেলাফত আন্দোলনের মুফতি ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের নুরুল আফসার আল আজাদ শাহীন, দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি ও মাওলানা আমজাদ হোসাইন।

 

চরসিন্ধুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কাশেম শিকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় পলাশ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাসুদ করীমসহ এসব প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

 

এসময় সমমনা এসব দলের প্রার্থীরা জামায়াতের নির্বাচনী জনসভায় হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

 

এসময় এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ছাত্রজনতা কোনো পিএসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি, আন্দোলন করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পলাশের মানুষ কোনো পিএস, এপিএসের পলিটিক্স চায় না, তারা এমপির পলিটিক্স চায়। আগামী নির্বাচনে কোনো জোর জুলুম করা হলে পলাশের জনগণ তা প্রতিহত করবে। দীর্ঘ ৩টি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি এবার ছাত্র জনতার আন্দোলনে ভোট দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। তাই জনগণ শান্তিতে ভোট দিতে চায়। যারা এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বিশৃঙ্খল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে জনগণ এর জবাব দেবে।

 

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মহসিন আহমেদ ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যিনি তিনবার এমপি হয়েছেন, তিনি আবার ভোট চাইতে হবে কেনো? জনগণতো নিজে থেকে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে। আগের ন্যায়নীতি আর বিএনপির মধ্যে নেই। এখন তারা চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে, তাই পাগলের মতো হয়ে গেছে। শেখ হাসিনাতো মুদির সাথে সম্পর্ক ভালো ছিল, তাই ভারতে ভালো আছেন কিন্ত বিএনপি যাবে কোথায়। জনগণ ক্ষেপে উঠলে পালাবার পথ পাবে না তাই এগুলো ছেড়ে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

 

জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন, নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসাবে বুধবার বিকেলে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতিদলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন বকতির নেতৃত্বে ৫০ তেকে ৬০ জনের নেতাকর্মী আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোঁড়া, কাঁচি নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ৩০ জামায়াত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মারাত্মক আহত ৭ নেতাকর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইসলামিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 



এই বিভাগের আরও