৫ দিনেও চালু হয়নি ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট

০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:১৯ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম


৫ দিনেও চালু হয়নি ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট
সংগৃহিত ছবি

আল আমিন মিয়া:
৫ দিনেও চালু করা যায়নি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট। আগামী সোমবার (১০ অক্টোবর) পুনরায় এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।

গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে হঠাৎ করে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে এক ঘন্টার মধ্যে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিটটি চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিটটি চালু করা যায়নি।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জানান, ৫ নম্বর ইউনিটটির সেফটি বাল্ব ফেটে যাওয়ায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গত বুধবার (৫ অক্টোবর) ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোলরুম প্রায় তিন ঘন্টা পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি পরিক্ষা নীরিক্ষা করেন।

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ইউনিট চলার জন্য মেটাল টেম্পারেচার থেকে রোটর টেম্পারেচারের মিনিমাম ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম বেশি থাকতে হয়, তা না হলে টারবাইনে সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে সেটি তাৎক্ষণিক চালু করা না গেলে টেম্পারেচারের মাত্রা ঠিক করতে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন সময় নিতে হয়। বুধবার ইউনিটটি পাওয়ার দেওয়ার পর লোড দেওয়ার সময় দুটি টেম্পারেচার সমপরিমাণ থাকায় তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি।