পলাশে ছিনতাই ডাকাতি রোধে অন্ধকার সড়কে বাতি স্থাপন

০৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম


পলাশে ছিনতাই ডাকাতি রোধে অন্ধকার সড়কে বাতি স্থাপন

নূরে-আলম রনি:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কগুলোতে প্রায় সময় ঘটে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই অপরাধী চক্র বিভিন্ন অন্ধকার সড়কের পাশে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। পরে সুযোগমত পথচারীদের ওপর হামলা করে মোটরবাইক, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এছাড়া ওইসব সড়কের পাশে লুকিয়ে থেকে সুযোগ বুঝে আশেপাশের বাড়িগুলোতেও ডাকাতরা হানা দিতো। এতে প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিনপার করতে হতো স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের। এখন পাল্টে গেছে সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন চিত্র। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর থেকেই অন্ধকার সড়কগুলোতে জ্বলছে আলো। সড়কের পাশে ঝোপঝাড়গুলোও অনেকটা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক মাস আগে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর উদ্যোগে এই ইউনিয়নের অন্ধকার সড়কগুলোতে সোলার স্থাপন করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশের সকল জঙ্গলও পরিস্কার করা হয়েছে। এতে পথচারীরা নির্বিঘ্নে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। ওসির এমন উদ্যোগের প্রশাংসা করেছেন অনেকেই।

গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা আনিছ মিয়া ও দড়িচর গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়া নরসিংদী টাইমসকে বলেন, ইউনিয়নের তালতলি বাজার থেকে ঝালকাঠি, মাস্টার বাজার ও রামপুর বাজার পর্যন্ত সড়কগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকতো। সন্ধ্যার পর চোর, ডাকাতরা সড়কের পাশের জঙ্গলগুলোতে লুকিয়ে থেকে প্রায় সময়ই সাধারণ মানুষের টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতো। এখন সড়কগুলোতে আলোর ব্যবস্থা ও ঝোপঝাড় পরিস্কার করায় চোর ডাকাতদের আনাগোনা হচ্ছে না।
তারা বলেন, সড়কে আলোর ব্যবস্থা ও জঙ্গল পরিস্কার রাখার দায়িত্ব ছিল জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু তাদের মাথায় এসব চিন্তা আসেনি। থানার ওসি এই কাজটি করায় আমরা এখন অনেকটা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছি।

যোগাযোগ করা হলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন নরসিংদী টাইমসকে বলেন, গজারিয়া ইউনিয়নের অনেক সড়কে আলোর ব্যবস্থা ও ঝোপঝাড় পরিস্কার না থাকায় খুব সহজে সেখানে চুরি-ডাকাতি হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় সড়কগুলোর জঙ্গল পরিস্কার করাসহ আলোর ব্যবস্থা করি। অপরাধীরা আলো দেখলে ভয় পায়। তারা অন্ধকার পেলে খুব সহজে অপরাধ ঘটাতে সক্ষম হয়। আলোর ব্যবস্থা হওয়ায় এখন আর ওই ইউনিয়নে চোর ডাকাতের উৎপাত নেই।



এই বিভাগের আরও