পলাশে রোপা আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, উদ্বিগ্ন কৃষকরা

২১ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম


পলাশে রোপা আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, উদ্বিগ্ন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় রোপা আমনের ক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে মরে যাচ্ছে ধানগাছ। কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আগামী এক দেড়মাসের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলার কথা থাকলেও এখন ফসলহানির চিন্তায় তারা।


উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫ শত ৯০ হেক্টর জমি। এসব জমিতে এখন আসতে শুরু করেছে ধানের ছড়া। আগামী এক দেড়মাসের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলার কথা কৃষকের।


কৃষকরা জানান, এই মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে এমন আশাবাদী হলেও এসব ধানের জমিতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত একমাস ধরে উপজেলার চলনা, মালিতা, সুলতানপুর, গকুলনগর, চরসিন্দুরসহ বিভিন্ন গ্রামে ধানের জমিগুলোতে বাড়ছে এই পোকার আক্রমণ। এর আগে দেখা দেয় মাজরা পোকার আক্রমণ। এতে ফসলহানি নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক। পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণের এক সপ্তাহের মধ্যে মরে যাচ্ছে ধানগাছ। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।


উপজেলার গকুলনগর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন ও জামাল উদ্দিন বলেন, এবার পোকায় যে আক্রমণ করতাছে ২০ শতাংশ জমি থেকে ২ মণ ধানও পাওয়া সম্ভব হবে না। যারা ধান চাষ করছে প্রায় সকলেরই একই অবস্থা। কৃষি অফিসারের সাথে পরামর্শ করলাম তিনি বলছে স্প্রে করার জন্য, করছি বেশি একটা কাজ করলো না।
সুলতানপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, যখন ধান গাছের ছড়া আসা শুরু করছে তখন থেকে এই পোকার আক্রমণ শুরু হইছে। এতে ধানের ফলন নিয়ে চিন্তায় পড়ছি।


পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম বলেন, খুবই সামান্য পরিমান রোপা আমন ক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ হয়েছে। এর ফলে ধান গাছের পাতা মরে হলুদ হয়ে যায়। এই পোকা দমনে কৃষকদের অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এটা এক সপ্তাহ পরপর তারা যদি তিনবার স্প্রে করে তাহলে এই পোকার আক্রমণ আর থাকবে না। তাই ফসলহানির আশংকা আমরা করছি না। আশা করি আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া যাবে।
চলতি মৌসুমে পলাশ উপজেলায় ১৩ হাজার ৪ শত ৭০ মেট্রিক টন রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।