পলাশে জালিয়াতির মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলে নিলেন ইউপি সদস্য

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:৫৫ পিএম | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ পিএম


পলাশে জালিয়াতির মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলে নিলেন ইউপি সদস্য

পলাশ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে হতদরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা জালিয়াতি করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনিরা বেগম নামে স্থানীয় সংরক্ষিত এক নারী ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে। মাতৃত্বভাতা প্রাপ্ত হতদরিদ্র মা কারীমা আক্তার, সোহানা ও ফাতেমা আক্তারের ভাতার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য।


ভুক্তভোগীরা জানান, সরকার কর্তৃক হতদরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় তিন বছরের জন্য কারীমা আক্তার, সোহানা ও ফাতেমা আক্তার এর নামে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা চালু হয়। তিনমাস পরপর সেই ভাতার টাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও কেউ কেউ এক-দু বছরের টাকা এক সাথে উত্তোলন করেন। প্রতিবছর শেষে কারীমা আক্তার, সোহানা ও ফাতেমা আক্তারও তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা এক সাথে তুলছিলেন।
প্রথম দুই বছর ভাতার টাকা তুলতে পারলেও শেষে বছরের টাকা তুলতে ব্যাংকে গেলে তারা জানতে পারেন তাদের মাতৃত্ব ভাতার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নিয়ে গেছেন উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মনিরা বেগম।


ভুক্তভোগি কারীমা আক্তার বলেন, গত জুন মাসে আমার মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্তির সময় শেষ হয়েছে। আমি শেষ বছরের ৯৬০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করিনি। সেই ভাতার টাকা তুলতে রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি, আমাদের মেম্বার মনিরা বেগম আমার ভাতা কার্ড হারিয়ে গেছে বলে জালিয়াতি করে আমার ৯৬০০ টাকা তুলে নিয়ে গেছেন।
একই অভিযোগ করেন সোহানা ও ফাতেমা আক্তারও। তারা জানান, গত জুন মাসে তাদেরও মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্তির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু শেষ বছরের টাকা এক সাথে তুলতে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি, মেম্বার মনিরা বেগম জালিয়াতির মাধ্যমে মাতৃত্ব ভাতার ৯৬০০ টাকা করে তুলে নিয়ে গেছেন। পরে বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনিরা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।


এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহেনা পারভিনকে অফিসে না পেয়ে ওনার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি পরে কল দিচ্ছি বলে ফোনটি রেখে দেন। এরপর একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোনটি আর রিসিভ করেননি।