রায়পুরায় কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সহপাঠীর উপর হামলা

১৯ এপ্রিল ২০২২, ০৮:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম


রায়পুরায় কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সহপাঠীর উপর হামলা

রায়পুরা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরায় নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এবং কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত শফিকুল ইসলাম (১৮) পৌরসভার শ্রীরামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও রায়পুরার নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আহত শফিকুল ওই ছাত্রীর সহপাঠী বলে জানা গেছে। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার থানাহাঠির রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সৈকত (২২) ও তার কয়েকজন সহযোগী রায়পুরার নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এবং কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ওই ছাত্রী লোক লজ্জার ভয়ে শিক্ষক কিংবা পরিবারের কাউকে কিছু না বলে দুই সপ্তাহ আগে সহপাঠীদের ঘটনাটি জানায়। এরপর সহপাঠীরা উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে। এরই জেরে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ছুটির পর রায়পুরা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসা মাত্রই সৈকত ও তার সহযোগীরা লাঠিসোঁটা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থী শফিকুলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মারপিটে আহত হয় শফিকুল। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।

আহত শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার পর থেকে তারা আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলো। আজ কলেজ ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে সৈকত (২২), রতন (৪৮), ফারদিন (১৮), মানিক (৫০), রাহাত (১৮), রহিম (২০) আরও অনেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।

নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এবং কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানি না। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কিছু হলে জানতাম। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এটা মোটেই কাম্য নয়।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।