৫ বছর ধরে নিখোঁজ বাঁশগাড়ীর ৪ আওয়ামী লীগ নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন

২৬ মে ২০২২, ০২:২১ পিএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম


৫ বছর ধরে নিখোঁজ বাঁশগাড়ীর ৪ আওয়ামী লীগ নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

৫ বছর আগে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর নিখোঁজ নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের চার আওয়ামীলীগ নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে নিখোঁজ চার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ দেড় শতাধিক এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।

নিখোঁজ চারজন হলেন, রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৎকালীন সহ সভাপতি রুপ মিয়া মেস্বার, ক্রীড়া সম্পাদক হাবিব মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন।

পাঁচ বছর আগে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন এই চার নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি স্বজনদের।

মানববন্ধনে স্বজনরা বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ মে বিকেলে বালুয়াকান্দি গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগ নেতা রুপ মিয়া ও যুবলীগ নেতা আজিজুল এবং বাঁশগাড়ি গ্রাম থেকে আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব ও জাকির হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় রায়পুরা থানা পুলিশ। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয় বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকে রাতে থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানতে পারলেও পরদিন থানা ও আদালতে তাদের খোঁজ মেলেনি। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা একটি চক্রের পক্ষ থেকে ঘুষ পেয়ে পুলিশ এই চারজনকে তুলে নিয়ে গুম করেছে বলে দাবি স্বজনদের।

এসময় বক্তব্য রাখেন, নিখোঁজ আজিজুল ইসলামের মা নুরজাজান বেগম, নিখোঁজ রুপ মিয়া মেম্বারের ভাতিজা মাইন উদ্দিন, নিখোঁজ হাবিব মেম্বারের বড় ভাই সফিয়ত উল্লাহ প্রমুখ।

নিখোঁজ হাবিব মেম্বারের বড় ভাই সফিয়ত উল্লাহ বলেন, বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে আসা স্থানীয় হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রয়াত সিরাজুল হক ও তার সমর্থকরা মিলে পুলিশকে টাকা নিয়ে ম্যানেজ করে গুম করিয়েছে। আমার ভাইকে ফেরত চাই।

নিখোঁজ আজিজুল ইসলামের বড় ভাই হরুন মিয়া বলেন, আমার ভাইকে গুম করার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরের ২০ তারিখ আমাকেও বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। নরসিংদী সদর টু মদনগঞ্জ রোডে নিয়ে রাতের আঁধারে পায়ে গুলি করে পুলিশ নিজেই হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে আমাকে অস্ত্র মামলা দিয়েছে। তখন আড়াই মাস জেলে খেটেছি আমি। আমি আমার ভাইয়ের খোঁজ চাই।

নিখোঁজ রুপ মিয়া মেম্বারের ভাতিজা মাইন উদ্দিন বলেন, প্রবাসী হিসেবে ১৬ বছর সৌদি আরবে ছিলাম।  আমার কাকার নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে দেশে ফিরে আসি। থানা, জেলখানা, আদালত কোথাও তাকে খুঁজে পাইনি। পুলিশ উল্টো অভিযোগ করে আমরা নাকি তাদের কাছ থেকে চারজনকে ছিনিয়ে নিয়েছি। পরে আমাকেও ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেছে। একটা পা নাই আমার, আমাকেও অস্ত্র মামলা দিয়েছে পুলিশ।  আনুমানিক ৪ মাস জেল খেটেছি।  যেই অবস্থাতেই হোক, আমার ভাইসহ চারজনকে ফেরত চাই আমি।



এই বিভাগের আরও