রায়পুরায় বিয়ের পরদিন মেঘনায় যুবকের মরদেহ, নদীর পাড়ে জুতা ও বিষের বোতল

১২ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১৬ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ পিএম


রায়পুরায় বিয়ের পরদিন মেঘনায় যুবকের মরদেহ, নদীর পাড়ে জুতা ও বিষের বোতল
সংগৃহিত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নাম ইউসুফ নবী (২৩) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার পারিবারিকভাবে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের ললিত উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইউসুফ নবী রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়ার ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রামের মো. নুরু মিয়ার ছেলে। তাঁর পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও কালো রংয়ের শার্ট। লাশ উদ্ধারের সময় তাঁর দুই হাত মেহেদী রাঙানো ছিল। ওই সময় ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরত্বে নদীর পাড়ে পড়ে থাকা একজোড়া জুতা ও একটি খালি বিষের বোতল উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর সায়দাবাদ ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। পরে খবর পেয়ে রায়পুরা থানা ও মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে তীরে তোলা হয়।

 

এ সময় ওই যুবকের প্যান্টের পকেট থেকে দুটি স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা পাওয়া যায়। পরে নিহত যুবকের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশপাশের গ্রামের লোকজন উদ্ধার হওয়া লাশটি শনাক্ত করতে পারেননি। বুধবার সকালে নিহতের পরিবারের সদস্যরা মর্গে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত যুবকের বাবা মো. নুরু মিয়া বলেন, বিয়ের পরের দিন ছেলের লাশ পাওয়া গেল, বিষয়টি কোনভাবে মেনে নিতে পারছি না। ধারণা করছি, আমার ছেলেকে হত্যা করে নদীতে ফেলে এভাবে নাটক সাজানো হয়েছে। কারণ আমার ছেলে সাঁতার জানে, এভাবে তাঁর নদীতে ডুবে মারা যাওয়ার কথা নয়। আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় গিয়ে মামলা করব। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানান তিনি।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, তিনি কী বিষ খেয়ে নদীতে লাফ দিয়েছেন, নাকি তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে থানায় আসবেন বলে জানিয়েছেন।



এই বিভাগের আরও