রায়পুরায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, সভাপতিকে হুমকি

১৪ নভেম্বর ২০২২, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ এএম


রায়পুরায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, সভাপতিকে হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৬০নং পূর্বহরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোস্তাক আহম্মেদ এক সপ্তাহ আগে ৩-৪জন শিক্ষার্থীকে মারধর ও রক্তাক্ত করেন। শিক্ষার্থীরা মারধরের অভিযোগটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানালে তিনি ওই শিক্ষককে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। পরে এই জেরে অভিযুক্ত শিক্ষকের সমর্থনে কতিপয় লোক সভাপতির বাড়িতে গিয়ে কয়েক দফায় পরিবারকে গালমন্দ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দেয়।

তিনমাস আগে শিক্ষক মো: মোস্তাক আহম্মেদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ জমা হয়। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির উপস্থিতিতে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমানের তদন্তে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ হতে অপসারণ করা হয়। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই শিক্ষক স্বপদে বহাল থাকতে পায়তারা করে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুহেরা আক্তার বলেন, সহকারি শিক্ষক মোস্তাক আহম্মেদ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পরও স্ব-পদে থাকার পায়তারা করছেন। স্থানীয়দেরকে ভুল বুঝানোসহ তার সমর্থনে তাঁর বাড়ীর লোকজন আমার বাড়িতে এসে কয়েক দফায় আমাকে সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে চাপ দিচ্ছেন। পাশাপাশি এলাকায় আমাকে এবং আমার স্বামীর নামে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানোসহ তার লোকজন বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং আমাকে বাড়ি ছাড়া করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের অত্যচারে আমি এবং আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যা তার ইন্ধনেই হচ্ছে। ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ঘোলাটে করা এবং পাঠদান ব্যাহত করছেন। উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক মো: মোস্তাক আহমেদ।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগটি পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগর হোসেন বলেন, অভিযোগটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।



এই বিভাগের আরও