রায়পুরায় কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেপ্তার

১১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৩৬ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ পিএম


রায়পুরায় কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরার শেরপুরের কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত আরও ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার ভোরে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নরসিংদীর রায়পুরা থানার শেরপুর পশ্চিম পাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে মো: রহমত উল্লাহ (৩২) ও একই থানার শেরপুর কান্দাপাড়ার লুৎফর ওরফে লুৎফর মাস্টারের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম ওরফে ভুট্রো (১৮)। এ নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল আমিন জানান, গত ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) শেরপুরের কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় গত বুধবার রায়পুরা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শেরপুর পশ্চিম পাড়ার মিল্লাত হোসেন বাইজিদ ওরফে কামরুল (১৮) ও শেরপুর কান্দাপাড়ার কাউসারকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ডিবি। এসময় তারা অনলাইন জুয়া খেলার টাকা লেনদেনের বিরোধ ও নারী ঘটিত প্রনয় সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে দুইজনকে পরপর কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশকে জানায়। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

জবানবন্দী ও তাদের দেয়া তথ্যমতে রোববার কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসময় জোড়া খুনের অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী সহ মো: রহমত উল্লাহ ও মো: সাইফুল ইসলাম ওরফে ভুট্রোকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের দোখানোমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি রক্তমাখা জ্যাকেট ও একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় মোট ৬ জন জড়িত বলে জানায় তারা। রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

  

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রায়পুরার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে দুইজনের মুখমন্ডল বিকৃত করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দুটি রায়পুরা থানার লোচনপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী হোসেন (৪৫) ও শিবপুর থানার পাহাড় ফুলদী এলাকার মো: দ্বীন ইসলাম (৩৪), এর বলে শনাক্ত করেন। নিহতরা পেশাদার জুয়াড়ি ছিল বলেও জানায় পরিবারের সদস্যরাও।