রায়পুরায় নৌকাডুবি: দুদিন পরও নিখোঁজ নারীর সন্ধান মেলেনি

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ এএম


রায়পুরায় নৌকাডুবি: দুদিন পরও নিখোঁজ নারীর সন্ধান মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচরে ঝড়ের সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কমলা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর খোঁজ এখনো (২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা) মেলেনি। ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করতে পারেনি স্থানীয় নৌ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ওই নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মির্জারচরে মেঘনা নদীতে হঠাৎ ঝড়ে নৌকা ডুবে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সমীবাদ গ্রামের সাপ্তাহিক হাটে বাজারসদাই শেষে মোট সাতজন ওই ছোট নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই ঘটনায় মির্জারচর গ্রামের আক্তার মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও শামীম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৫) নামের দুজন নিহত হন।

নিখোঁজ কমলা বেগম রায়পুরার মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার দুদিন আগে পার্শ্ববর্তী সমীবাদ গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেরাতে যান তিনি। বেরানো শেষে ওই নৌকায় করে ফেরার পথে ঝড়ে নৌকাডুবি হলে তিনি নিখোঁজ হন। 

নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ওই নৌকাটির গন্তব্য ছিল একই উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রাম। নদীপথে এর দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার আর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সময় লাগে পাঁচ মিনিটের মতো। ঘটনার দিন মোট সাতজন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছার পরই হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়লে সেটি ডুবে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি নৌকার যাত্রীরা ঝড়ের মধ্যেই তাঁদের পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান উদ্ধার হওয়া উজ্জ্বল। ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর অর্থাৎ পরদিন বিকেলে শিশু সুমাইয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে নৌ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে এখনো নিখোঁজ আছেন কমলা বেগম।

মির্জারচরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল জানান, গত রোববার রাতের ওই নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন কমলা বেগম নামের এক নারী। গত দুদিন ধরে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে নৌ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।



এই বিভাগের আরও