সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেলেন আশরাফ গানি

১৮ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫৩ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম


সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেলেন আশরাফ গানি
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালেবান। মার্কিন সৈন্যরা দেশটির ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করতেই সারাদেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে তালেবানরা। একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিতে থাকে। গত রবিবার কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান এবং ওই দিনই আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি’র দেশ ত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।

অবশেষে ধোঁয়াশা কাটল তালেবানের পুনরুত্থানে দেশত্যাগী আফগান প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে। তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এটি নিশ্চিত করছে যে, মানবিক কারণে আশরাফ গানি ও তার পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এর আগে, গত রোববার আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তালেবানের সশস্ত্র অভিযানের মুখে প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন আশরাফ গানি। পরে অবশ্য কিছু গণমাধ্যম দাবি করে, তাজিকিস্তান অনুমতি না দেওয়ায় ওমানে চলে গেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট। তার সঙ্গে স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও আফগানিস্তান ছেড়েছেন বলে শোনা যায়।

সম্ভাব্য দেশত্যাগীদের মধ্য আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর নামও এসেছিল। তবে মঙ্গলবার এক টুইটে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন, তিনি আফগানিস্তানেই রয়েছেন। পাশাপাশি, সংবিধান অনুসারে এই মুহূর্তে নিজেকে দেশটির বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট বলেও দাবি করেছেন আমরুল্লাহ সালেহ।

ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে থাকলেও পশ্চিমাসমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট যে পালিয়েছেন, তা নিশ্চিত। আর এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ আফগান নাগরিকদের একাংশ। তাদের কেউ কেউ আশরাফ গানিকে ‘কাপুরুষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কাবুলের রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, আশরাফ গানি দেশ ছাড়ার সময় চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টারভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন। রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশচেঙ্কো বার্তা সংস্থা আরআইএ’কে বলেন, গানি যেভাবে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছেন তা (বিদায়ী) শাসকগোষ্ঠীর পতনের সবচেয়ে স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য। চারটি গাড়ি ছিল নগদ অর্থে ভর্তি, তারা এগুলোর আরেকটি অংশ হেলিকপ্টারে তুলতে চেয়েছিল, কিন্তু পুরোটা ধরেনি। কিছু অর্থ রাস্তায় পড়ে ছিল।

রুশ দূতাবাসের এ মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকেও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বক্তব্যের সূত্র কী জানতে চাইলে তিনি ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের’ কথা জানিয়েছেন।


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও