মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী আজ

১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:১১ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০১:০৯ এএম


মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী আজ
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ ১২ ডিসেম্বর, মজলুম জননেতা খ্যাত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন ভাসানী। তিনি হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। তার ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর এক বোন ও দুই ভাই ছিলেন। বাবার সঙ্গে দুই ভাই তৎকালীন মহামারিতে মারা যান। তখন মা ও বোনের সঙ্গে তিনি বেঁচে যান। মওলানা ভাসানী সারাজীবন অধিকার বঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে ভাসানী দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। ব্যক্তি জীবনে ভাসানী ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন।

ভাসানী বাংলাদেশকে শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্টতা ছিল। বাঙালি জাতিসত্ত্বা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী।

রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মজলুম খ্যাত এই জননেতা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মহিপুর হক্কুল এবাদ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। যার অধীনে একটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। আসামে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সন্তোষে কারিগরি শিক্ষা কলেজ, শিশু কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি কাগমারিতে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ সন্তোষে (সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) যা ২০০২ সালে ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এদিকে মওলানা ভাসানীর ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস্থ দরবার হলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাওলানা ভাসানী স্মৃতিসৌধ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ভাসানীর জন্মবার্ষিকীর সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাস্ক পরিধান ও গণজমায়েত পরিহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ