চাকুরিতে যোগদান করতে গিয়ে প্রার্থীরা জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া

১৩ জুলাই ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম


চাকুরিতে যোগদান করতে গিয়ে প্রার্থীরা জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাসপোর্ট অফিসে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে ঢাকার মিরপুরের কাজী পাড়া ও শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাট হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবু জাহেদ নয়ন (২৮) এবং মাহমুদুল হাসান ওরফে রনি (৩০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।


র‌্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, অভিযুক্ত আবু জাহেদ নয়ন এর বাড়ী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সালেহপুর গ্রামে। সে ২০১৫ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা এ এমএলএসএস পদে অস্থায়ী চাকুরী নেয়। প্রায় ০১ বছর চাকুরী করার পর অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে তাকে চাকুরী হতে বহিষ্কার করা হয়। চাকুরীর সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সুবাধে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে চাকুরী প্রার্থীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করে। পরে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।


পাসপোর্ট অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, এমএলএসএস'সহ বিভিন্ন পদে প্রায় ৫০জন চাকুরী প্রার্থীকে চাকুরীর প্রলোভন ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫৬ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। উক্ত টাকাগুলি আবু জাহেদ নয়ন বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক, এস এ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এবং নগদে গ্রহণ করে এবং বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য ১০জন প্রার্থীকে ১০টি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে।


নিয়োপত্র পাওয়া প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে তাদের পদায়ন হয়েছে মর্মে ভুয়া দাপ্তরিক চিঠি প্রদান করে। গত ০৯ জুন ২০১৯ তারিখে উক্ত ভুয়া চিঠি নিয়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগদান করলে তারা জানতে পারেন যে, নিয়োগপত্র ভুয়া, জাল এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। গ্রেপ্তারকৃত নয়ন এই ভুয়া নিয়োগপত্র গুলো মাহমুদুল হাসান রনির মাধ্যমে তৈরি করে।
ঢাকার শাহআলী থানাধীন গুদারাঘাট এলাকায় রনির কম্পিউটার কম্পোজ এর একটি দোকান আছে। ঐ দোকানে আবু জাহেদ নয়ন ও মাহমুদুল হাসান রনি মিলে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করত। রনির দোকান হতে জব্দকৃত ল্যাপটপে এই নিয়োগপত্র তৈরীর অনেক আলামত পাওয়া যায়। প্রতারিত প্রার্থীরা সাবাই নোয়াখালীর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।

বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা আবু জাহেদ নয়ন এবং সহযোগী মাহমুদুল হাসান রনিকে গ্রেপ্তার করে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও