চলমান বন্যায় ১০১ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর

২৫ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম


চলমান বন্যায় ১০১ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর

টাইমস ডেস্ক:

দেশে চলমান বন্যায় দুই সপ্তাহে পানিতে ডুবে আর পানিবাহিত রোগে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বন্যায় ঘরবাড়ি হারানোর পর এবার রোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। গেল দুই সপ্তাহে পানিতে ডুবে সাপের কামড়ে ও পানিবাহিত রোগে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে।

১১ হাজার মানুষ ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পানিতে ডুবে ৮৩ জন, বজ্রপাতে ৭ জন, সাপের কামড়ে ৮ জন আর অন্যান্য কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

এছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঝিনাই নদীতে ডুবে মারা গেছে শিশুসহ ৫ জন। এখানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত থাকায় ভেঙ্গে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের তথ্য অনুযায়ী টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে ২৮ জেলার ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাইবান্ধায় আরও অবনতি ঘটেছে বন্যার। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার সবকয়টি নদীর পানি ৫ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের সবকটি নদীতে পানি আবারও বেড়েছে। ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকলেও শুরু হয়েছে নদী ভাঙণ। গতকাল বুধবার রাতে নড়িয়া উপজেলার দূর্গম চর নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চারিমন্ডল মৌজার ৪০ শতাংশ জায়গার ১০টি বসবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ৫০টি পরিবারের বসতঘর স্থানান্তরসহ ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে আরও ৭০টি পরিবার।

এছাড়া শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করলেও পানিবন্দী বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও