পাবনায় বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার

০৫ জুন ২০২০, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম


পাবনায় বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনায় ভাড়া বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অন্তত তিন দিন আগে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে তাদের খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারনা পুলিশের। খবর পেয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে স্বামী-স্ত্রী-মেয়েসহ তিনজনের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৫ জুন) বিকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরের একটি বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনজন হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জব্বার (৬২), তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫৬) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (১২)।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ জানান, দক্ষিণ রাঘবপুরের জনৈক আবদুল খালেকের ৪ ইউনিটের একটি দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি ইউনিটে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন আবদুল জব্বার। বাড়ির মালিক ঢাকায় বসবাস করেন। বাড়িটির দোতলা এবং নিচ তলার একটি ইউনিট ফাঁকা। বাসার কক্ষগুলো তছনছ করা এবং আলমিরা ভাঙ্গা পাওয়া গেছে।

ওসি বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ওই বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে আবদুর জব্বার ও তার স্ত্রী এবং অপর একটি কক্ষ থেকে মেয়ে সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটি পাবনা শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মরদেহের শরীরে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে এবং মুখে বালিশ চাপা দেয়া রয়েছে। মরদেহে পচন ধরেছে এবং গন্ধ বেরিয়েছে। ৩-৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তিনজনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতদের স্বজনরা জানান, আবদুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি সাঁথিয়ার কাশিনাথপুরে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়ার পর পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সানজিদা নিঃসন্তান আবদুল জব্বার এর পালিত মেয়ে।

এদিকে কী কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে উদঘাটন করা না করা গেলেও ডাকাতি শেষে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে হত্যা করতে পারে বলে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম।

রাজশাহী থেকে পুলিশের ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সুরহতাল দেখবে। আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য রাজশাহী থেকে টিম না আসা পর্যন্ত লাশ ওই বাড়িতেই থাকবে। পুলিশ বাড়িটি পাহারা দিচ্ছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও