চাকরির বয়স সীমা ৩৫ না করার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি

০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪১ পিএম


চাকরির বয়স সীমা ৩৫ না করার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি

 

টাইমস ডেস্ক:

চাকরিতে বয়স সীমা বাড়ানোর বিষয়ে যখন আলোচনা শুরু হয় তখনই আমি পিএসসির চেয়ারম্যানকে ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করি। কিন্তু এটা সম্ভব না।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষায় পাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটু দেরি হলেও ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮-তে ইন্টারমিডিয়েট, চার বছর অনার্স, এক বছর মাস্টার্স। সে হিসেবে ২৩-২৪ বছরে পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারে।

তিনি বলেন, কাজ করার জন্য একটা সময় থাকে, বয়স থাকে। একটা সময় পর তা আর হয় না। তাই শুধু আন্দোলন করার জন্যই যদি দাবি তোলা হয়, তাহলে কিছু বলার নেই। এক্ষেত্রে তারা হয়তো কোনো জায়গা থেকে সুবিধা-অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন কিনা-সেটিও বিষয়।

‘এ নিয়ে পার্লামেন্টেও একটা প্রস্তাব হয়েছে। তারা আন্দোলন করেই যাবে। আন্দোলন করুক। আন্দোলন করলে অন্তত রাজনীতিটা হয়তো শিখবে।’

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতালে ‘বাম-ডান মিলে গেছে এক সুরে’ বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাম আর ডান মিলে গেছে। এক সুরে। এই তো? খুব ভালো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গ্যাসের প্রয়োজন আছে কি-না? দেশের যদি আমরা উন্নয়ন করতে চাই, এনার্জি একটা বিষয়। এলএনজির জন্য খরচ যথেষ্ট বেশি পড়ে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে আন্দোলন করেছে আবার বলেছে, ভারতে দাম কমিয়েছে। এ সময় ভারত ও বাংলাদেশে গ্যাসের দামের পার্থক্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পরও ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাহলে আমি এক কাজ করি, যে দামে কিনব সে দামে বিক্রি করি? বহুদিন পর হরতাল পেয়েছেন পরিবেশের জন্য ভালো।

রাখাইনকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার নিয়েই খুশি। মিয়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। আমরা আমাদেরটা নিয়ে থাকবো। আমরা রাখাইনকে চাই না।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। রাখাইন মিয়ানমারের অংশ। আমরা এটা চাই না। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইনকে জুড়ে দিতে চায় কেন?

কোনো বড় দেশের কংগ্রেসম্যান হয়তো ভুলে গেছেন, তাদের অতীত। তাদের দেশে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকতো। রাখাইনে সারাক্ষণ গোলযোগ লেগেই থাকে। আমরা গোলযোগ পূর্ণ অংশ কেন নেবো? এটা কোনো দিনই করবো না। এটা আমরা চাই না, বলেন শেখ হাসিনা।


বিভাগ : বাংলাদেশ