ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন

১২ মে ২০২০, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ এএম


ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) মানববন্ধনের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থনীতি ডেস্ক:

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। মঙ্গলবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচীতে অংশ নেন।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান, ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)’র সাহিদা পারভিন শিখা, গার্মেন্টস শ্রমিক টিইউসি’র কাজী রুহুল আমিন প্রমূখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে মানুষ দুর্বিসহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। করোনার বিস্তার রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে সবচেয়ে দুর্দশায়। সরকার গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের কত শতাংশ মজুরি দেওয়া হবে তা নিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। যা শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও অসন্তোষ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গার্মেন্টসের বাইরেও আছে রি-রোলিং ও স্টিল মিল শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক, নৌযানশ্রমিক, চা-শ্রমিক, গৃহকর্মী, সেলুন কর্মী, হোটেল-রেঁস্তোরার কর্মী, হস্তশিল্পী, ছাপা-মুদ্রণ ও বাঁধাই শ্রমিক, স্বর্ণকার, দর্জিশ্রমিক, হকার, দোকানকর্মচারীসহ অনেক খাতের শ্রমিক। যার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। ওই সকল শ্রমিকরাও অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অথচ কয়েকদিন পরেই ঈদ। ঈদের আগেই সকল শ্রমিকের বকেয়া বেতন-ভাতা, চলতি মে মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ ছুটির সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের বেতন বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে অনেক মালিক কারখানা লে-অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই করেছে, যা শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ। যে সব মালিক শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা লে-অফ করেছে, সে সব মালিকদের শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও ছাটাইকৃত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। করোনা দুর্যোগে কর্মহীন শ্রমিকদের এককালীন সহায়তা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান তারা।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও