বেলাব বড়িবাড়ির যুদ্ধ: এখনো আতকে উঠেন এলাকাবাসী
২০ জুলাই ২০২০, ১২:৩১ এএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫ এএম

শেখ আঃ জলিল:
বেলাব উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পাঁড় ঘেষা গ্রামের নাম বড়িবাড়ি। ১৯৭১ সালের ১৪ জুলাই মঙ্গলবার, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর নির্মমতা ও হত্যাযজ্ঞের এক নীরব সাক্ষী। ৭১ এর রক্তস্নাত গ্রাম বড়িবাড়িতে প্রতিবছর ১৪ জুলাই দিনটি এলে এখনো স্বজন হারানোর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৪ জুলাই তারিখে পাকবাহিনীর সাথে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এই বড়িবাড়িতে। সেই যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ৫৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। সেসময় অসংখ্য বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনী বড়িবাড়ি গ্রামে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। সেদিন হায়ানাদের কবল থেকে শিশু বৃদ্ধ যুবক কেউই রক্ষা পায়নি। পাকবাহিনী চলে যাবার পর পুনরায় আসতে পারে সে ভয় আর আতংকে সেদিন এক কবরে ৪/৫ জন করে সমাহিত করেন গ্রামবাসী।
বড়িবাড়ির প্রবীণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ঐদিন ৩ নং সেক্টরের অধীন প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশারের নেতৃত্বে ২৫/২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা বড়িবাড়ি গ্রামে অবস্থান নেয়। ১৪ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের সালুয়া গ্রাম থেকে পাকবাহিনীর একটি দল নৌকা ও লঞ্চ যোগে বেলাব’র দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এসময় বড়িবাড়িতে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসা নৌকাটিকে সন্দেহ হলে নৌকাকে তীরে আসার জন্য নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ শুনে নৌকা থেকে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর এলোপাথারী গুলি ছুড়তে থাকে। অন্যদিকে লঞ্চে থাকা পাকবাহিনীর বিশাল আরেকটি দল কৌশলে তীরে উঠে মুক্তিবাহিনীদের ঘিরে ফেলে এবং এলোপাথারী গুলি বর্ষণ করতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর। কিন্তু ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর শতাধিক সদস্য’র সাথে যুদ্ধে পেরে উঠতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে থাকেন। কিন্তু এর আগেই পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হয় মুক্তিযোদ্ধা প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার বীর প্রতিক, আঃ বারি, নুরুল হক, মমতাজ উদ্দীন ও সোহরাব হোসেন। পরে পাকবাহিনী বড়িবাড়ি গ্রামে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করে বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
বড়িবাড়ি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খলিলউল্লাহ পাঠান যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বড়িবাড়ির যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করেছি। সেদিনের যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৫৫ জন গ্রামবাসী শহীদ হয়েছিলেন। বড়িবাড়ির যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে সেখানে একটি শহীদ মিনার তৈরী করা হলেও আমাদের দাবী এই যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৬০ জনের নাম সম্বলিত একটি স্মৃতি ফলক যাতে সরকারীভাবে নির্মাণ করা হয়।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা শরমিন বলেন, ১৯৭১ সালে বেলাবরের বড়িবাড়ির যুদ্ধে শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক তৈরী করা উচিত। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক যদি এ ব্যাপারে আবেদন করা হয় তাহলে শহীদদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক তৈরী করা হবে।
বিভাগ : নরসিংদীর তথ্যবই
- বেলাবতে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চালককে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পানিরপাম্প বিকল, সপ্তাহধরে দুর্ভোগে রোগীরা
- নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষক ও কর্মচারী পরিষদের কমিটি গঠন
- ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে
- ষড়যন্ত্র কিংবা নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না: আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম
- চরদিঘলদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৭
- জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাব কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ
- শিবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত
- জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
- নরসিংদীতে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে সড়কে প্রাণ গেল ৬ জনের
- বেলাবতে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চালককে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পানিরপাম্প বিকল, সপ্তাহধরে দুর্ভোগে রোগীরা
- নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষক ও কর্মচারী পরিষদের কমিটি গঠন
- ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে
- ষড়যন্ত্র কিংবা নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না: আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম
- চরদিঘলদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৭
- জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাব কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ
- শিবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত
- জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
- নরসিংদীতে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে সড়কে প্রাণ গেল ৬ জনের